রোনালদোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাকে সাফল্য এনে দিতে সাহায্য করেছে: মেসি

|

ছবি: সংগৃহীত।

লিওনেল মেসি। ফুটবল বিশ্বে ক্ষিপ্রতা ও বিচক্ষণতায় প্রতিপক্ষের শিবিরে এক আতঙ্কের নাম। কখনও গোলে আবার কখনও এসিস্টে, প্রতিনিয়তই রেখে যাচ্ছেন দলের পক্ষে অবদান। ফুটবল ক্যারিয়ারে পেয়েছেন সকল ব্যক্তিগত অর্জন। তার হাতে ধরেই দীর্ঘ ২৮ বছর পর আর্জেন্টিনার ঘরে এসেছে আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপা। কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়েই ঘুচিয়েছেন দীর্ঘ সময়ের শিরোপা খরা।

কিছুদিন আগেই ক্যারিয়ারের সপ্তম ব্যালন ডি’অর জেতেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি। ফলে আরও ভারী হয়েছে তার ব্যক্তিগত অর্জন। সেরাদের সেরা হয়ে ওঠার আরেকটি ধাপ অতিক্রম করলেন মেসি। তবে অর্জনের সাথে পাল্লা দিয়ে আবারও বিনয়ী এই পিএসজি তারকা।

সপ্তম ব্যালন ডি’অর জয়ের অনুভূতি প্রকাশকালে ইতিহাসের সেরা কে? এমন প্রশ্ন আসলে মেসি বলেন, কখনও বলিনি আমিই ইতিহাসের সেরা। এটা কখনও ভাবিও না। সেরাদের একজন হতে পারাটাই আমার জন্য বড় ব্যাপার। সেরা হওয়া না হওয়াতে কিছু বদলাবেও না।

ব্যালন ডি’অরের চূড়ান্ত নাম ঘোষণার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ছিল সরগরম। সেই উত্তেজনায় ঘি ঢালেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে প্রধান প্রতিপক্ষ যে সিআর সেভেন। তবে এখানেও মেসি দিলেন বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর।

আরও পড়ুন: ব্যালন ডি’অরের প্রধান একজন মিথ্যাবাদী: রোনালদো

বলেন, আমি নিজেকে ছাড়িয়ে সেরা হতে চেয়েছি, অন্যদের ছাড়িয়ে গিয়ে নয়। ক্রিস্টিয়ানোর সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন একই লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। উপভোগ করেছি সেই সময়গুলো। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাকে সাফল্য এনে দিতে সাহায্য করেছে।

এমন নির্লিপ্ত উত্তর কেবল মেসিতেই শোভা পায়। মাঠে যতটা ক্ষিপ্র এই আর্জেন্টাইন, ঠিক উল্টো তার ব্যক্তিজীবনে। যার কাছে মহাতারকার চেয়ে মহামানব হয়ে উঠাটাই মুখ্য।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply