কষ্ট দিয়ে কেউ সুখী হতে পারেনি, সাবেক স্ত্রীর উদ্দেশে লিখে যুবকের আত্মহত্যা

|


নিজস্ক প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রী ছেড়ে যাওয়ার শোক কাটিয়ে উঠতে না পেরে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। ওই যুবকের নাম মোফাসসিল (২৬)। তিনি সেজেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে মেড্ডার তিতাস পাড়ার তিতাস নদীর পাড় গাছের সাথে ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে। মোফাসসিল দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। পেশায় একজন সিএনজি চালক। মৃত্যুর আগে সে একটি চিরকুট লিখে যায়।

মোফাসসিলের মা চাঁন বানু জানান, বছর দুয়েক আগে মেড্ডার হেলিম মিয়ার মেয়ে মিলির (১৮) সাথে বিয়ে হয় মোফাসসিলের। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত বিয়ের প্রায় দুই বছর পর তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। কিন্তু সাবেক স্ত্রী মিলির প্রতি ভালোবাসা কমেনি মোফাসসিলের। সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

মোফাসসিলের লিখে যাওয়া চিরকুটে লিখা ছিল, ‘জানো মিলি, তুমি ছাড়া আমাকে বুঝার মতো আর কেউ ছিলোনা। তুমি আমার ভালোবাসা বুঝেও বুঝলে না। কোনো একদিন আমার ভালোবাসা বুঝবে, সেদিন খোজলেও (খুঁজলে) পাবে না। পৃথিবীতে কেউ কাউকে ঠকিয়ে কোনদিন জিততে পারেনি, তুমিও পারবে না। কারো মনে কষ্ট দিয়ে কেউ কোনদিন সুখী হতে পারেনি, তুমিও পারবে না। কোনদিন ভাবিনি ছেড়ে চলে যাবে আমায়।’ চিঠির আরেক পৃষ্ঠায় মোফাসসিল লিখেন, ‘স্বার্থপর পৃথিবীতে টাকাই সব। সব হারিয়েছি টাকার জন্য, হারিয়েছি তুমাকেও। ও যেতে চায়নি, ওকে বাধ্য করেছে ওর মা-বাবা ও বড় বোন।’

পরিবারের সদস্যরা জানান, ফজরের নামাজের পর সে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। এর ঘণ্টাখানেক পর মেড্ডার শ্মশানঘাটের একটি কড়ইগাছের সাথে তার লাশ ঝুলতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পাশেই অটোরিকশাটি ছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply