গেমিং ল্যাপটপ কেনার টাকা জোগাতে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, গ্রেফতার ৪

|

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী:

নরসিংদীর রায়পুরায় অপহরণের পর শিশু ইয়ামিন হত্যার ঘটনায় মূল হোতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে রায়পুরার উত্তর বাখরনগর ও পিরিজকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গেমিং ল্যাপটপ কেনার টাকা জোগাড় করতে শিশু ইয়ামিনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ আছে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে। সেই টাকা না পেয়েই হত্যা করা হয় ইয়ামিনকে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো— উত্তর বাখরনগর গ্রামের সিয়াম উদ্দিন, রাসেল মিয়া, মো. সুজন মিয়া ও কাঞ্চন মিয়া।

এর আগে নিখোঁজের ৫ দিন পর শুক্রবার সকালে উত্তর বাখরনগর গ্রামের একটি ডোবা থেকে মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল উদ্দিনের ৮ বছরের অপহৃত শিশু সন্তান ইয়ামিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের চামড়া তুলে নেয়ার হুমকির অভিযোগ এসপি’র বিরুদ্ধে

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান জানান, টিভিতে সিআইডি ও ক্রাইম পেট্রোল সিরিয়াল দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে গেমিং ল্যাপটপ কেনার টাকা জোগাড় করতে উত্তর বাখরনগর গ্রামের প্রবাসী জামাল মিয়ার ৮ বছরের ছেলে ইয়ামিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে একই এলাকার দুই কিশোর সিয়াম ও রাসেল।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনের দিন বাড়ির পাশের দোকানের সামনে থেকে শিশু ইয়ামিনকে খেলার ছলে অপহরণ করা হয়। পরে সিয়ামের বাড়ির নির্জন একটি কক্ষে হাত পা ও মুখ বেঁধে বস্তায় ভরে আটক রাখা হয়। এসময় স্ক্রিপ্টেডবায়া অ্যাপস ব্যবহার করে ভিপিএন এর মাধ্যমে পরিবারের নিকট ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় বালিশ চাপা দিয়ে শিশু ইয়ামিনকে হত্যা করা হয়।

আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ র‍্যাবের অভিযান, আটক ৫

পরে সিয়ামের বাড়ির গোয়াল ঘরের কারের উপর বস্তাবন্দি লাশ লুকিয়ে রাখা হয়। ৪ দিন পর রাতের অন্ধকারে বস্তাবন্দি লাশটি গ্রামের একটি ডোবায় ফেলে দেয় অপহরণকারীরা। পরদিন শুক্রবার সকালে ইয়ামিনের মরদেহ শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে রায়পুরা থানা পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলে জানায় পুলিশ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply