কুয়েট শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু: সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হলো সিন্ডিকেট সভা

|

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হলো সিন্ডিকেট সভা। কাল সকালে আবারও বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার আনিছুর রহমান।

এর আগে, শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন দুইজন। পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে বিকেলে সিন্ডিকেট সভাটি অনুষ্ঠিত হলেও তাতে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

গত মঙ্গলবার কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনকে সাথে নিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তার কক্ষে প্রবেশ ও পরে কক্ষ থেকে বের হওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ যমুনা নিউজের হাতে পৌঁছেছে। ফুটেজে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ২০/২২ জনের একদল শিক্ষার্থী শিক্ষক সেলিম হোসেনকে ক্যাম্পাসে গতিরোধ করেন এবং এক পর্যায়ে ড. সেলিমের কক্ষে প্রবেশ করেন। সিসিটিভির ফুটেজ অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রায় ৪৫ মিনিট তারা শিক্ষক সেলিম হোসেনের কক্ষে অবস্থান করেন।

কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানান, মূলত লালন শাহ হলের নতুন ডাইনিং ম্যানেজার নিয়োগকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ওই অংশটি প্রভাব খাটিয়ে হলের প্রভোস্ট সেলিম হোসেনকে নাজেহাল করে। এ অবস্থায় সেখানেই তিনি মাইনর স্ট্রোক করেন। পরে বাসায় যাবার পর অসুস্থ হয়ে বাথরুমে পড়ে যান। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে কুয়েট মেডিকেল সেন্টার ও পরে নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেয়ার পথে মারা যান।

মঙ্গলবার রাতে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। শিক্ষকের সাথে যারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে তাদের শাস্তির দাবি করেছে। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে শান্ত হন শিক্ষার্থীরা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply