কুড়িগ্রামে অধ্যক্ষের অবহেলায় অনিশ্চয়তায় ৩৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রামের রৌমারী টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের এইচএসসির ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৩৬ জন শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র না থাকায় আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে প্রবেশপত্র না পাওয়ায় ৩৬ জন শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে রৌমারী টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী কলেজের অধ্যক্ষ এস এম হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রৌমারী উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। বিক্ষোভ শেষে কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

প্রবেশপত্র না পাওয়া এইচএসসি ২য় বর্ষের পরীক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, অধ্যক্ষ এসএম হুমায়ুন কবীর স্যারের কাছে ফরম পূরণের জন্য তিন হাজার টাকা জমা দিয়েছি। কিন্তু আজ পরীক্ষার প্রবেশ পত্র নিতে এসে দেখি আমাদের ৩৬ জন শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র নেই। বিষয়টি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হলে আমরা সবাই অধ্যক্ষের রুমে গেলে তিনি কলেজ থেকে পালিয়ে যান।

পরীক্ষার্থী সেলিম বলেন, এইচএসসি ১ম বর্ষের আমাদের ১৫৬ জন শিক্ষার্থীকে ফেলের কথা বলে জনপ্রতি ১২০০ টাকা নিয়েছে। আমরা পরে জানতে পারি কেউ ফেল করেনি। আমরা ছয়শত শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত উপবৃত্তির টাকা পাইনি। উপবৃত্তি দেবার কথা বলে ১ হাজার করে টাকা সকল শিক্ষার্থীর থেকে নিয়েছিলো অধ্যক্ষ স্যার।

রৌমারী টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ এসএম হুমায়ুন কবীর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান থেকে ৪২৫ জন পরীক্ষা দেবে। এরমধ্যে ৩০/৩২ জন শিক্ষার্থীর অনলাইনে ফরম পূরণে ভুল হওয়ায় এমনটি হয়েছে। আমি এখন ঢাকা যাচ্ছি এগুলো ঠিক করে আনার জন্য।

এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অধ্যক্ষের অবহেলার কারণে ৩৬ জন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এসব শিক্ষার্থী মূলত ২০১৯ সালের। আমি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হলেও অধ্যক্ষ এই বিষয়ে কিছুই বলেননি আমাকে। বিষয়টি জানার পরে প্রাথমিক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন স্যার এবং আমি শিক্ষাবোর্ডে যোগাযোগ করে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমাধানের ব্যবস্থা নিয়েছি। অধ্যক্ষের অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবেও বলে জানান তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply