প্রথমবারের মতো কোরিয়ান ভাষায় কুরআন অনুবাদ করলেন ড. হামিদ চৈ ইয়ং

|

কোরিয়ান ভাষায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ হাতে ড. হামিদ চৈ ইয়াং কিল।

সাত বছরের কঠোর পরিশ্রম ও গবেষণা শেষে প্রথমবারের মতো কোরিয়ান ভাষায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইসলামিক স্কলার, গবেষক ও অনুবাদক ড. হামিদ চৈ ইয়াং কিল। ১২০০ বছর আগে কোরিয়ানরা প্রথমবারের মত ইসলামের সংস্পর্ষে আসলেও এর আগে কোরিয়ান ভাষায় পবিত্র কুরআনের কোনো অনুবাদ গ্রন্থ ছিলো না। সে হিসেবে কোরিয়ান মুসলিমদের জন্য এটি একটি অনন্য ঘটনা।

কোরিয়ার বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার ড. হামিদ চৈ (৭০)- এর শৈশব ও পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য না পাওয়া গেলেও জানা যায় যে, তিনি ১৯৭৫ সালে কোরিয়ার হানকুক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব মদিনা থেকে ফান্ডামেন্টালস অফ রিলিজিয়ন অ্যান্ড দাওয়াহ বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেন (১৯৭৬-১৯৮০)। এ সময় তিনি আরব অঞ্চলের বিখ্যাত শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

এরপর, ২০০৮ সালে তিনি আল্লামা শফিউর রহমান মোবারকপুরী রচিত মহানবী (সা.)-এর বিখ্যাত জীবনী গ্রন্থ ‘আর-রাহিকুল মাখতুম’-এর কোরিয়ান অনুবাদের জন্য কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর ট্রান্সলেশন লাভ করেন।

ড. হামিদ চৈ-এর জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো কোরিয়ান ভাষায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ সম্পন্ন করা। এটিই এখন পর্যন্ত কোরিয়ান ভাষায় কুরআনের একমাত্র ও প্রথম অনুবাদ। এছাড়া তিনি এ পর্যন্ত ৩০টির বেশি বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক ইসলামী বই কোরিয়ান ভাষায় অনুবাদ করেছেন। পেশাগত জীবনে ড. হামিদ চৈ একজন শিক্ষক, তিনি মিয়নজি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।

উল্লেখ্য, মুসলিম ঐতিহাসিক ও ভূগোলবিদদের মতে, কোরীয় উপদ্বীপে মুসলিম ব্যবসায়ীদের যাতায়াত শুরু হয় সপ্তম শতকের মধ্যভাগে। বিখ্যাত পার্সিয়ান ঐতিহাসিক ও ভূগোলবিদ ইবনে খারদাবেহ এর মতে, কোরিয়ান উপদ্বীপে খ্রিস্টীয় নবম শতকে শিলা রাজ্যে মুসলিমদের স্থায়ী আবাস গড়ে ওঠে। কোরিয়ায় শিলা সাম্রাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি হলে কোরিয়া উপদ্বীপে ইসলামিক স্বর্ণযুগের সূচনা হয়।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply