জান্তা বাহিনীর দায়েরকৃত দু’টি মামলায় সু চির প্রথম রায় ৬ ডিসেম্বর

|

ছবি: সংগৃহীত।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের পরই গ্রেফতার করা হয় দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে। এরপর তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক সরকার। একটি সামরিক আদালতে সেসব মামলার মধ্যে দু’টি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৬ ডিসেম্বর। খবর ডয়েচে ভেলের।

উত্তেজনা উসকে দেয়া এবং কোভিড-১৯ বিধি-নিষেধ লঙ্ঘনের মাধ্যমে একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইন ভাঙার দায়ে সু চির বিরুদ্ধে করা পৃথক দু’টি মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ৬ ডিসেম্বর। তবে এই রায় ঘোষণার দিন ছিল মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর)। তা মুলতবি করে রায়ের নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  চীনের কারাগার থেকে পালালেন উত্তর কোরীয়, ভিডিও ভাইরাল

উক্ত মামলা দু’টিতে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রথমটিতে সর্বোচ্চ দুই বছর এবং পরেরটিতে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড হতে পারে এই নেত্রীর। সেই সাথে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া প্রতিটি মামলার রায়ে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে কয়েক দশক পর্যন্ত জেলে কাটাতে হতে পারে সু চিকে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) ক্ষমতাচ্যুত করে জান্তা বাহিনী। এর প্রতিবাদে দেশটির সাধারণ জনগণ রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত সেই আন্দোলনও কঠোরভাবে দমন করে জান্তা বাহিনী। পুড়িয়ে দেয় গ্রামের পর গ্রাম। হত্যা করে বহু মানুষকে।

অভ্যুত্থানের দিনই সু চিসহ এনএলডি’র একাধিক নেতাকেও আটক করা হয়। এরপর টানা চার মাস বন্দি থাকার পর গত জুনে সু চির বিচারকাজ শুরু হয়।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply