গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। সোমবার (২৯ নভেম্বর) এ আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে ভ্যারিয়েন্টটি। কিছু এলাকায় যার পরিণাম হবে ভয়াবহ।
আক্রান্তের পরিমাণ বাড়বে ধরে নিয়ে সদস্য দেশগুলোকে প্রস্তুতি গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম। একই সাথে, টিকাদানে গতিবৃদ্ধিরও আহ্বান জানান তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, যতোক্ষণ পর্যন্ত সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত না হচ্ছে, ততোক্ষণ কোনো অঞ্চল, দেশ বা সমাজ নিরাপদ নয়। বিশ্ব যে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে তার বড় প্রমাণ হলো ওমিক্রন। শিগগিরই নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে ভয়াবহ সংক্রমণ ঝুঁকিতে পড়বে, গোটা বিশ্ব। এখনো ভীতি আর উপেক্ষার আবর্তে ঘুরছি। অথচ, মহামারি নির্মূল আমাদের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা
বিশেষভাবে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় ভ্যাকসিন স্বল্পতা থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডব্লিওএইচও। এখন পর্যন্ত ওমিক্রনের প্রভাবে কারো মৃত্যু সংবাদ শোনা যায়নি। তবে, অবহেলার কারণে সংক্রমন এবং অসুস্থতার পরিমাণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন শনাক্তের খবর জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দেশটিতে করোনা সংক্রমনের পরিমাণ গুরুতরভাবে বাড়ছে। অন্যান্য দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি কঠোর বিধিমালা গ্রহণ করলেও ধরা পড়ছে নতুন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে ‘আক্রমণাত্মক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের বিরোধী ডব্লিউএইচও
তবে এই ভেরিয়েন্ট ঠেকাতে দেশে দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিরোধী ডব্লিউএইচও। এর আগে রোববার (২৯ নভেম্বর) একটি বিবৃতি প্রকাশ করে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা করোনা সংক্রমণকে খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। বরং এর ফলে বিশ্বে জীবন জীবিকার প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে পড়ে। তাই ওমিক্রন ঠেকাতে দেশে দেশে এমন আক্রমণাত্মকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত নয়। এর বদলে বিজ্ঞানসম্মত স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
Leave a reply