ওমিক্রন প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা

|

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রতিরোধে দেশে সামাজিক রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জনসমাগম নিরুৎসাহিতসহ ১৫টি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাউথ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়েসহ আক্রান্ত দেশগুলোতে আগত যাত্রীদের বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং করতে হবে। সকল ধরনের জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।

প্রয়োজনে বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। রেস্তোরাঁতে বসে খাওয়ার সময় অর্ধেক আসন খালি রাখতে হবে। সকল ধরনের জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনোদন কেন্দ্রে অর্ধেকের কম লোক অংশগ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, মসজিদসহ উপাসানালয় ও গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

আক্রান্ত দেশ থেকে যাত্রীরা আসলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, টানা একমাস ধরে দেশে করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী, শতকরা হিসেবে তা দেড় শতাংশের মত। কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না সরকার।

এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় ধরা পড়া নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েল, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডসহ অনেক দেশে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে বিমান যোগাযোগ স্থগিত করেছে বেশকিছু দেশ। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক অবস্থানে বাংলাদেশও।

আরও পড়ুন : ওমিক্রন ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে বাংলাদেশ

এদিকে ওমিক্রন শনাক্ত দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কারিগরি কমিটি। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ সংক্রমিত দেশগুলো থেকে আসা সবাইকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply