‘মডেল নির্বাচনে’ সহিংসতায় প্রাণ গেছে ৬ জনের

|

তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনেও থামানো যায়নি সহিংসতা। বিজিবি সদস্যসহ ৫ জেলায় প্রাণ গেছে অন্তত ৬ জনের। এর মধ্যে ৫ জনই মারা গেছেন ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায়। অন্যদিকে নির্বাচনকে মডেল নির্বাচন আখ্যা দিয়েছেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব এ মন্তব্য করেন। তার মতে, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মূলত মারামারি, সংঘর্ষ, গোলাগুলি, ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, জাল ভোটের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের খনগাঁও ইউনিয়নে ভোট গণনার সময় প্রার্থীদের সমর্থকরা পুলিশ ও বিজিবির সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় গুলিতে নিহত হন মোহম্মদ মোজাহারুল ও সাহাবুলি হোসেন নামে দুই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন : ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ; বিজিবির গুলিতে নিহত ২ 

এছাড়া নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ গাঢ়াগ্রাম ইউনিয়নে ভোট গণনার সময় সংঘর্ষে রুবেল হোসেন নামে এক বিজিবি সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নরসিংদীর রায়পুরায় ভোট গণনার সময় সহিংসতায় নিহত হন আরিফ নামে এক যুবক। মুন্সিগঞ্জের বাংলাবাজার ইউনিয়ন ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সংঘর্ষে প্রাণ যায় আরও ২ জনের। এছাড়া মুন্সিগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় একজনের মৃত্যুর অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ভোটগ্রহণ চলার সময় সংঘর্ষে নিহত হন ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান। এদিকে, ঢাকার কেরানীগঞ্জে হযরতপুর ইউনিয়নেও রোববার রাতে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন : নীলফামারীতে নির্বাচনী সহিংসতায় বিজিবি সদস্য নিহত

রোববার সারা দেশে ১ হাজার ৪টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবশ্য এবার অনেক জায়গায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের ভোট দিতে দেখা গেছে। তবে কোথাও কোথাও ভোটারদের দীর্ঘ সারি ছিল চোখে পড়ার মতো।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply