ওমিক্রন মোকাবেলায় তৈরি করা হবে নতুন ভ্যাকসিন

|

প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাস মহামরির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন মোকাবেলায় নতুন উদ্যমে গবেষণা শুরু করেছে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ভ্যারিয়েন্টটি মোকাবেলায় তারা দিয়েছে নানা প্রতিশ্রুতি।

শনিবার (২৭ নভেম্বর) অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, ওমিক্রন মোকাবেলায় প্রয়োজনে তৈরি করা হবে নতুন ভ্যাকসিন।

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের পরিচালক প্রফেসর অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, বর্তমানে টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহৃত টিকাগুলোও অনেকাংশে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে সক্ষম। তবে গবেষণার পরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব।

মডার্না ২টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। তাদের মতে চলমান বুস্টার ডোজের মাত্রা ৫০ থেকে ১০০ মাইক্রোগ্রাম বাড়িয়ে দেয়া হোক। নতুবা বুস্টার ডোজও দু’দফায় দেয়ার চিন্তা প্রতিষ্ঠানটির।

নতুন ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপারে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছে ফাইজার ও বায়োএনটেক। তারপরই টিকা ইস্যুতে কথা বলতে চায় তারা। এদিকে, বাজারজাত হওয়া নিজ ভ্যাকসিনের সক্ষমতা যাচাই করে দেখছে জনসন এন্ড জনসন।

জার্মানির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ লেইফ এরিক স্যান্ডার বলেন, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জন্মগতভাবেই প্রস্তুত মানব শরীর। অ্যান্টিবডি এবং বিশেষ কোষগুলো ভাইরাসের বিভিন্ন অংশ শনাক্তে সক্ষম। তাই, চলমান ভ্যাকসিনগুলোও নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে। পরিবর্তন-রূপান্তর যাই ঘটুক না কেনো, ওমিক্রনকে করবে প্রতিরোধ।

রবার্ট কোশ ইন্সস্টিটিউটের প্রধান লোথার ওয়েইলের বলেন, ভাইরাস ও ভ্যাকসিনের মধ্যকার দূরত্ব কমাতে হবে। জার্মানিতে এখনো ১২ বছরের বেশি বয়সী দেড় কোটি মানুষ নেননি টিকা। সংখ্যাটি কমানোর মাধ্যমে কমবে সংকটও। প্রত্যেক ভ্যাকসিন-ই কমায় হাসপাতালে যাওয়ার ঝুঁকি, মৃত্যুহার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply