শ্যামপুর চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন নেই সাত মাস

|

গত বছর মাড়াই স্থগিত হয়ে যাওয়া রংপুরের শ্যামপুর চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারী আর শ্রমিকদের বেতনভাতা নেই সাত মাস ধরে। অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটছে তাদের। আর আখ চাষের অনুমতি না থাকায় ৩৫ হাজার চাষি পরিবারও কাটাচ্ছে দুর্বিষহ দিন।

রংপুরের শ্যামপুর চিনিকলের ঝাড়ুদার ভারতী রানি আর আব্দুল জলিলের আর্তির হিসেব মেলানো বড়ই কঠিন। সাত মাস ধরে বেতন বকেয়া। হতাশ অন্য শ্রমিক কর্মচারীরাও। পাম্প চালক সাজু ছাগল বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালাচ্ছেন। অনটনে দিশেহারা খালাসি আজগার ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। একই পরিস্থিতি অন্যান্য শ্রমিক, কর্মকর্তা কর্মচারীও।

গেলো বছর ১ ডিসেম্বর মাড়াই কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণার পর আন্দোলন হয়েছে মিলটি চালুর। তবে বরাবরই উপেক্ষিত মিল চালুর দাবি। যদিও এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে স্থানীয় অর্থনীতিতে।

এমনকি অবসরেও যাওয়ারা পিএফ এবং গ্রাচুয়েটির টাকাও পাচ্ছেন না। আখ চাষের অনুমতিসহ বকেয়া দ্রুত পরিশোধের দাবি জানিয়েছে আখ চাষি সমিতি এবং কর্মচারী ইউনিয়ন।

এমন পরিস্থিতিতে কবে দেয়া হবে বকেয়া বেতন আর কবে চালু হবে মিলটি সে ব্যপারে কোনো তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। রংপুর শ্যামপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান হাবীব জানালেন এমনই হতাশাজনক তথ্য।

মাড়াই স্থগিতের পর ৪৭২ জনবলের মধ্যে ৪০০ জনকে অন্য মিলে বদলি করা হয়েছে। আর ৭২ জনের বেতন নেই ৭ মাস ধরে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply