দেশে ফিরছে বেলারুশ সীমান্তের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা

|

বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে নিজ দেশে ফিরতে শুরু করেছে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৭০ জনকে ইরাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দেশে ফিরে বিমানবন্দরে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান তারা। তুলে ধরেন সীমান্তে অমানবিক নির্যাতনের তথ্য।

এদিকে, বেলারুশ সরকার বলছে, দ্রুত অভিবাসন প্রত্যাশীদের ফিরিয়ে না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় অনিশ্চিত পথ পাড়ি দিয়ে বেলারুশ সীমান্ত থেকে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছে শিশুসহ এক ইরাকি। দ্বিতীয় ধাপে তার মতো আরও দেড় শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী ইউরোপের স্বপ্ন বলি দিয়ে ফিরেছেন নিজ জন্মভূমিতে। দেশে ফেরা অভিবাসন প্রত্যাশীরা জানান, বাড়ি ফিরতে পেরে খুবই ভালো লাগছে তাদের। বলেন, কী যে ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে ছিলাম তা বলে বোঝানো যাবে না। ইউরোপ যে সব সময় স্বপ্নের হয় এটা পুরোপুরি সত্য না, এর পেছে ভয়াবহতাও থাকে। সীমান্তে তাদের ওপর চরম নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও জানান তারা। সেখানে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে শিশুরা। এমনকি অনেকে মারাও গেছে।

তবে এরপরও দেশে ফিরতে চান না সীমান্তে অবস্থান নেয়া অনেক অভিবাসন প্রত্যাশী। যেকোনো মূল্যে জার্মানিতে ঢুকতে চান তারা। নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রতিবাদে করছেন বিক্ষোভও।

সীমান্ত থেকে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের দ্রুত ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। তিনি বলেন, সংকট সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে জার্মানিসহ প্রতিবেশি দেশগুলোকেও। তিনি বলেন, এই অভিবাসী সংকট যদি এখনও সমাধান না হয় তাহলে এটি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। শুধু শীতেই নয়, গ্রীষ্মেও বাড়বে আভিবাসীর ঢল। তখন তাদের সীমান্তে ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই আগে ভাগেই সমাধান করা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জার্মানিতে পাড়ি দেয়ার জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে অপেক্ষা করছে হাজার হাজার মানুষ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply