দুর্গম এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি।

এখনও বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা চর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদেরকে দ্রুত বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রয়োজনে নতুন প্রকল্প নেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার এখনও বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে থাকার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো বাড়ি বা পরিবার অন্ধকারে থাকবে না। তার নির্দেশনা অনুযায়ী, শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনার যে লক্ষ্য সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর দ্রুততম সময়ে চর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবশিষ্ট মানুষদেরকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে কাজ শুরু হয়েছে।

পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) তথ্য অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিহীন প্রত্যন্ত এবং চর এলাকায় সৌর শক্তির উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রংপুর জেলার রংপুর সদর ও গংগাচড়া উপজেলা এবং লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় মোট ১২ হাজার ১৭০টি সোলার হোম সিস্টেম বসানোর কথা ছিল। সেখানে ৯ হাজার ৮৪৫টি সোলার সিস্টেম স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা পিডিবিএফ।

গংগাচড়ায় সর্বশেষ নির্বাচিত ৪৫০৪ জনের মধ্যে থেকে যারা কন্ট্রিবিউশনের অর্থ ও এনআইডি জমা দিয়েছেন এবং অন্যান্য শর্ত পূরণ করেছেন, চলতি বছরের জুন মাসে তাদের ৭১২ জনকে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ করা হয়েছে। ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও তালিকাভুক্ত ৯০টি পরিবারের মাঝে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ করতে পারেনি পিডিবিএফ। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসলে তার নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করে সেই ৯০ জনের বাড়িতে সোলার হোম সিস্টেম বসানো হয়। একই সঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে থাকা অন্যান্য পরিবারগুলোকেও দ্রুত বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের অধীনে আনার নির্দেশ দেন।

বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে এখন পর্যন্ত ৬২ লাখ হোম সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। এসব সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ২৬৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। নামমাত্র মূল্যে বিতরণ করা এসব সোলার প্যানেল সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছেন ২ কোটি মানুষ।