গত দুই বছরে যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন ৩ লক্ষ শ্রমিক

|

তীব্র শ্রমিক সংকটের কারণে যুক্তরাজ্যের অধিকাংশ দোকান, ফিলিং স্টেশন ও সুপার শপে দেখা যাচ্ছে এরকম নোটিশ।

কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক সঙ্কট ও প্যানডেমিকের কারণে গত দুই বছরে যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন ৩ লক্ষেরও বেশি শ্রমিক। শ্রমিকদের এমন গণহারে দেশত্যাগে যুক্তরাজ্যে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সঙ্কট।

চলতি বছরের শীতে এ অবস্থার কিছুটা উন্নতির সম্ভাবনা দেখলেও বৃটিশ অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলমান শ্রমিক সঙ্কটের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দেশটির সেবা ও পণ্য পরিবহণ খাত। এতে সমস্যায় পড়েছে দেশটির বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। আর, উৎপাদন থাকলেও সরবরাহকারী শ্রমিকদের অভাবে প্রকট হয়েছে খাদ্য ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সঙ্কট।

দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৯ সাল থেকেই বিভিন্ন সেকটরের শ্রমিকদের দেশত্যাগের প্রবণতা বেড়েছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী বৃটেনের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, কঠোর ইমিগ্রেশন আইন ও প্যানডেমিক সত্ত্বেও তারা শ্রমিকদের বর্হিমুখী স্রোত ঠেকাতে পারছেন না। তারা আরও জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের মধ্যেই কাজে ইস্তফা দেয়ার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। যেখানে এশিয়া বা আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসীরা আগের কর্মস্থলেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।

বৃটেনের চার্টার্ড ইন্সটিটিউট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর বিশেষজ্ঞ গোয়েন ডেভিস বলেন, সরবরাহ খাত ক্ষতিগ্রস্থ হলে অন্যান্য সব খাতেই তার প্রভাব অবশ্যম্ভাবীভাবেই পড়বে। ইইউভুক্ত অন্যান্য দেশগুলো থেকে আসা শ্রমিকরা দেশছাড়ায় এসব ভ্যাকেন্সি পূরণ করা কঠিন হবে। এটা নিঃসন্দেহে এদেশের নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা। এখনই ব্যবস্থা না নিলে অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

তবে, লক ডাউন উঠিয়ে নেয়ার পর কিছু সংখ্যক শ্রমিক পূর্বের কর্মস্থলে যোগদান করলেও চলে যাওয়া শ্রমিকদের অধিকাংশই আগের ভিসায় আর প্রবেশ করতে পারছেন না বৃটেনে। এজন্য ব্রেক্সিট পরবর্তী অভিবাসন পদ্ধতিকে দায়ী করছেন বৃটিশ নীতি নির্ধারকরাই।






সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply