বিচারক কামরুন্নাহার অসৎ উদ্দেশ্যে আসামিকে জামিন দিয়েছেন

|

উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও ধর্ষণ মামলায় আসামিকে জামিন দেয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৭ এর অব্যাহতি পাওয়া বিচারক অসৎ উদ্দেশ্যে এমন কার্যক্রম করেছেন বলে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে। ছয় পৃষ্ঠার এ রায়ে বলা হয়েছে, উচ্চ আদালতের সমস্ত নথি থাকা এবং আইনজীবীরা বার বার বলা সত্ত্বেও আসামিকে জামিন দেয়া হয়েছে।

যাচাই না করে আদেশ দেয়ায় ওই বিচারক কামরুন্নাহার আপিল বিভাগের তলবে হাজির হয়ে গত ২২ নভেম্বর ক্ষমা চান। তবে, আদালত তার ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন। সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিল বিভাগ তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছেন। একইসাথে পূর্ণাঙ্গ ওই রায়ে বলা হয়েছে, তিনি বাংলাদেশের কোনো আদালতে আর ফৌজদারি বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

এতে আরও বলা হয়েছে, জামিন দেয়ার এখতিয়ার বিচারকের রয়েছে। তবে সর্বোচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলে তা করা যায় না। বিচারকের এখতিয়ার অবশ্যই প্রয়োগ করতে হবে মামলার নথি, তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করে ন্যায়বিচারের স্বার্থে। এছাড়াও যেখানে সর্বোচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞ রয়েছে, রায়ের জন্য দিন নির্ধারিত ধর্ষণের মতো অপরাধের মামলার আসামিকে জামিন দেয়া ওই বিচারকের একেবারেই অনুচিত কাজ হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply