মেয়েদের শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করার আশ্বাস ব্রিটিশ সরকারের

|

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মেয়েদের শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত হেলেন গ্রান্ট। করোনার প্রভাবে কমেছে মেয়েদের শিক্ষার হার। বাংলাদেশের মতো পুরো বিশ্বেই এর প্রভাব পড়েছে কমবেশি। মেয়েদের শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানো ও ক্লাসে ফেরানোর সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই কাজ শুরু করেছে ব্রিটিশ সরকার।

সম্প্রতি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর মেয়েদের শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত হেলেন গ্রান্ট বাংলাদেশ সফর করে যমুনা নিউজকে জানিয়েছেন তার অভিজ্ঞতার কথা। বিশ্বজুড়ে মেয়েদের শিক্ষাকে বাধামুক্ত ও যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে মানানসই করতে যুক্তরাজ্য সরকারের এই বিশেষ কার্যক্রম।

করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মেয়েদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এসেছে অবনতি। দারিদ্র, বাল্য-বিবাহের কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে গেছে অনেক শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ ঘুরে সেই বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন হেলেন গ্রান্ট।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এসে সিলেটের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ঘুরে দেখেছি আমি। সেখানে মেয়েদের শিক্ষার হার কমে গেছে। বিষয়টি শুধু যে বাংলাদেশে তা নয়, করোনার কারণে পুরো বিশ্বেই একই অবস্থা। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় আমরা সেই পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে চাচ্ছি। বাংলাদেশ তাতে অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে।

অঞ্চলভেদে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও মেয়েদের শিক্ষার হার কমছে বলেও জানান ব্রিটিশ এই এমপি। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগে শেষ হওয়া গ্লাসগো সম্মেলনেও বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। এখানকার মেয়েদেরও সেই ধকল সইতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা তরান্বিত ও শিক্ষকদের জন্য আলাদা প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা নিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক গুরুত্বের সাথে দেখি। এখানকার সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আমার বেশ ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত এক শিক্ষা বিষয়ক সম্মেলনেও এ নিয়ে আলচনা হবে।

বাংলাদেশে আবার আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের দক্ষ এই বিশেষ দূত।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply