ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ভেস্তে গেল মাহমুদউল্লাহর ক্যারিশমাটিক ওভার

|

ছবি: সংগৃহীত

ম্যাড়মেড়ে সমাপ্তির দিকে এগিয়ে চলা ম্যাচে শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮ রান। আর সেই ওভারটি করতে এলেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তার ক্যারিশমাটিক ওভারেও জয় আসেনি। তবে ছড়িয়ে পড়েছিল উত্তেজনার এক জোরালো আবেশ। ৩ উইকেট নিয়েও জয় না পাওয়ায় মাহমুদউল্লাহ নিজেও হয়তো আফসোস করবেন ব্যাটারদের ব্যর্থতা নিয়ে।

শেষ ওভারে বোলিংয়ে না এসে আর কোনো উপায়ও ছিল না বাংলাদেশ অধিনায়কের সামনে। কারণ তাসকিন আহমেদের ইনজুরির কারণে তার অসমাপ্ত ওভার শেষ করতে গিয়ে শহিদুল বল করেছেন ৩.৫ ওভার, আর তাসকিন ৩.১।

তবে মাহমুদউল্লাহ আক্রমণে এসে করলেন নাটকীয়তায় ভরা দারুণ এক ওভার। চিত্রনাট্যে সাজানো থাকলো মুহূর্তে মুহূর্তে উত্থানপতনের সমারোহ।

প্রথম বলে পরাস্ত করলেন সরফরাজকে। ক্যারাম বলে পুরোপুরিই বিভ্রান্ত ও পরাস্ত হন সরফরাজ। তার পরের বলেই সরফরাজকে পাঠালেন তিনি সাজঘরে। ডিপ মিড উইকেট দিইয়ে বল সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে ধরা পড়েন নাঈমের হাতে।

তৃতীয় বলে মাহমুদউল্লাহ শিকার করলেন মারকুটে ব্যাট করতে থাকা হায়দার আলিকে।শর্ট অব লেংথের বলকে লং অন দিইয়ে ফ্ল্যাট শটে ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে নাজমুল শান্তর হাতে ধরা পড়েন ৩৮ বলে ৪৫ রান করা হায়দার।

৩ বলে দরকার ৮ রান, এমন সমীকরণে হ্যাটট্রিক বলে মাহমুদউল্লাহ হজম করলেন ছয়। আর তার পরের বলেই ইফতিখার আহমেদকেও আউট করে আবারও বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু শেষ বলে মোহাম্মাদ নাওয়াজের বাউন্ডারিতে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

তবে শেষ বলের আগেও হয়ে গেছে আরেক প্রস্থ নাটক। পপিং ক্রিজের পেছন থেকে মাহমুদউল্লাহ বল ডেলিভার করলে তাতে আপত্তি তোলেন মোহাম্মাদ নাওয়াজ। তবে সেই আপত্তি তোলার ক্ষেত্রেও সময়ের হিসেবে কিছুটা দেরি হয়তো করেছিলেন নাওয়াজ। তবে তার পরের বলেই এর শোধও তুলে নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক খেলায় অংশ নেন মাহমুদউল্লাহ। তবে শেষ বলে বাউন্ডারি হজম করে ম্যাচ হারলেও মাহমুদউল্লাহর লড়াকু মনোভাব অনুপ্রাণিত করবে আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগতে থাকা বাংলাদেশকে। সেই সাথে ১-০-১০-৩ ফিগারটি এখন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ অধিনায়কের সেরা বোলিং পারফরমেন্স।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply