করোনার সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে ইউরোপ

|

নতুনভাবে মহামারির চ্যালেঞ্জের মুখে ইউরোপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, গেলো এক সপ্তাহেই সেখানে পাঁচ শতাংশ বেড়েছে করোনার বিস্তার। ইউরোপের ২০ লাখের বেশি মানুষের শরীরে শনাক্ত হয় করোনার সংক্রমণ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ঝুঁকিপূর্ণ ইউরোপীয় দেশগুলো।

গেলো দুদিন ধরে, ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে শনাক্ত হচ্ছে ৬০ হাজারের বেশি করোনার সংক্রমণ। যা ইউরোপীয় দেশটির মহামারির ইতিহাসে রেকর্ড। তাই তড়িঘড়ি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাশ করা হয়েছে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ। এখন এটি উচ্চকক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন, করোনা মহামারির বিস্তার ঠেকাতে হাসপাতালে তারা রোগী ভর্তির সক্ষমতা বাড়িয়েছেন। ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যকার পার্থক্য কমিয়ে আনার প্রস্তাবও পাশ হয়েছে বলে জানান তিনি। সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে আজই টিকা নিতে অনুরোধ করেন তিনি। অন্যথায় তারা গণপরিবহনে চলাচল করতে পারবেন না বলেও জানান মার্কেল।

এছাড়া বেলজিয়াম-স্পেনের পর গ্রিসও জারি করলো কঠোর বিধিমালা। ভ্যাকসিন গ্রহণ না করলে জনগণ পাবে না কর্মক্ষেত্র, বিনোদন কেন্দ্র এবং যানবাহনে প্রবেশের সুযোগ। দেশটিতে
আগামী সোমবার থেকে কার্যকর হচ্ছে করোনার বিধিনিষেধ। প্রাপ্তবয়স্ক কিন্তু টিকা নেননি এমন মানুষ ঢুকতে পারবেন না হোটেল-রেস্তোঁরা, সিনেমা হল, যাদুঘর ও জিমে। করোনা নেগেটিভ সনদ দেখালেও তাতে কোনো লাভ হবে না। ষাটোর্ধ্ব টিকাগ্রহীতাদের সনদ ইস্যু হওয়ার সাত মাস পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে। বুস্টার ডোজ না দিলে তারাও তালিকাভুক্ত হবেন।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনায়, শিগগিরই সদস্য দেশগুলোকে টিকা গ্রহণের তাগিদ দিলো ইউরোপের ঔষধ সংস্থা, ইএমএ। তাদের পরামর্শ, দ্রুত গ্রহণ করুন টিকা। যারা দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদেরকেও ছয় মাসের মধ্যে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে বলছে তারা।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম ইউরোপের ৬০ ভাগ মানুষ গ্রহণ করেছে পূর্ণাঙ্গ ভ্যাকসিন ডোজ। তারপরও এমন সময় পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের টিকাকেন্দ্রে নিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply