স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতের পর নিজের পেটে ছুরি বসিয়ে আত্মহত্যা

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে নববধূ শিথিলা বেগমকে ছুরিকাঘাতের পর স্বামী দুলাল মিয়া নিজেও পেটে ছুরি বসিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি শিথিলার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

বুধবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দুলাল মিয়ার। এর আগে, বুধবার সন্ধ্যার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের আটঘড়িয়া গ্রামে দুলাল মিয়ার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

দুলাল মিয়া (২০) আটঘড়িয়া গ্রামের বাবলু মণ্ডলের ছেলে ও শিথিলা বেগম (১৮) পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের কাতুলী গ্রামের সাদা মিয়ার মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় জানান, তিন মাস আগে পারিবারিক ভাবে দুলালের সাথে স্কুলছাত্রী শিথিলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুলাল মিয়া ঢাকায় গিয়ে চাকুরি করার কথা। কিন্তু দুলাল মিয়া চাকুরিতে না যাওয়ায় দাম্পত্য কলহের পাশাপাশি পরিবারিক কলহ চলছিলো। বুধবার সন্ধ্যার দিকে চাকুরিতে যাওয়া নিয়ে দুলাল মিয়াকে বকাবকি করে তার বাবা-মা। এরপর শিথিলার সাথেও তার ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে দুলাল মিয়া উত্তেজিত হয়ে শিথিলার বুকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে শিথিলা অজ্ঞান হয়ে পড়লে দুলাল মিয়া নিজেও একই ছুরি তার পেটে ও বুকে বসিয়ে দেন। পরে বাড়ির লোকজন দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় দুলাল মিয়ার।

পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সজিব কুমার বলেন, দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বুকে ছুরিকাঘাতের কারণে শিথিলার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply