তৃতীয় স্ত্রীর সহযোগিতায় চতুর্থ স্ত্রীকে খুন; আশ্রয় দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে

|

পুলিশ হেফাজতে ঘাতক সোহাইল ও নাহিদা।

চট্টগ্রামে পোশাক শ্রমিক লাকী হত্যাকাণ্ডের ১৬ মাস পর উদঘাটিত হলো হত্যা রহস্য। স্বামীর চার চারটি বিয়ের কথা জেনে যাওয়ায় প্রাণ দিতে হয়েছে তাকে। হত্যার পর মরদেহ লুকিয়ে রাখা হয় রান্নাঘরে। ঘাতক স্বামী ও তার তৃতীয় স্ত্রীকে গ্রেফতারের পর মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা গেছে, পোশাক শ্রমিক লাকীকে মিথ্যা পরিচয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন সোহাইল। পরে লাকী জানতে পারেন যে তিনি সোহাইলের চতুর্থ স্ত্রী। স্বামীর প্রতারণা ধরতে পারাটাই যেনো কাল হয়ে দাঁড়ালো লাকীর। অন্যদিকে, লাকীকে বিভিন্ন কারণে সন্দেহ করতো সোহাইল, সে সন্দেহ থেকেই প্রায়ই সৃষ্টি হত দাম্পত্য কলহের। পুলিশের দাবি, দু’জনের ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। এক পর্যায়ে গত বছরের ১৬ জুলাই রাতে সোহাইলের তৃতীয় স্ত্রী নাহিদার সহযোগিতায় লাকীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর রান্নাঘরে লাকীর মরদেহ লুকিয়ে রাখে ঘাতক স্বামী সোহাইল।

সিএমপি (ডবলমুরিং জোন) এসি আরিফ হোসেন বলেন, নাহিদা হত্যাকাণ্ডের পর ভিকটিমের আলামত গোপনে সহায়তা করেছিলো বলে মনে করছি আমরা।

পুলিশের দাবি, লাকীকে হত্যার পর সোহাইল চলে যায় বাগেরহাটে দ্বিতীয় স্ত্রী নাছিমার কাছে। এবং গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন কৌশলে আত্মগোপনে থাকতো সে। তবে বারবার স্থান ও মোবাইলের সিম পরিবর্তন করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘাতক সোহাইল ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। গ্রেফতার করা হয় তৃতীয় স্ত্রী নাহিদাকেও।

হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই সে চট্টগ্রাম ছেড়ে চলে যায়। ধরা পড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভারসহ বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে বেড়াচ্ছিলো। শেষ মুহূর্তে আমরা তাকে মোংলা থানায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।

মূলত স্ত্রীদের থেকে আর্থিক সুবিধা নিতেই সোহাইল একাধিক বিয়ে করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) আবদুল ওয়ারিশ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সোহাইলের ৩য় স্ত্রী নাহিদা জানতো শুধু ৪র্থ স্ত্রী লাকী আখতারের কথা। সোহাইলের আগের বিয়েগুলোর কথা তার জানা ছিল না।

হত্যার ৫ দিন পর গত বছরের ২১ জুলাই রহমানবাগ আবাসিক এলাকার বাসা থেকে লাকীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply