কপ ২৬ সম্মেলন: সর্ষের মধ্যেই ভূত

|

ছবি: সংগৃহীত

কপ ২৬ সম্মেলনে যে কোনো একক দেশের চেয়েও বড় প্রতিনিধিত্ব রয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের সাথে যুক্ত অংশগ্রহণকারীদের। বিবিসির কাছে পাঠানো একটি বিশ্লেষণে বেড়িয়ে এসেছে এই তথ্যটি, যা প্রকাশ করে পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে সম্মিলিত কোনো প্রচেষ্টাই কেন শেষতক দেখেনি আশার মুখ। ভূত যে লুকিয়ে সর্ষের মধ্যেই!

সম্মেলনটি শুরুর সময়ই জাতিসংঘ কর্তৃক প্রকাশিত হয় অংশগ্রহণকারীদের তালিকা। সেই তালিকা থেকে নীরিক্ষার পর এই তথ্যটি জানায় গ্লোবাল উইটনেস এবং সম্মেলন সংশ্লিষ্টরা। তারা খুঁজে বের করেছে যে, জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের সাথে যুক্ত ৫০৩ জন ব্যক্তি এই জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেন। বলা হয়, এই বিশাল সংখ্যক অংশগ্রহণকারী তেল এবং গ্যাস কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষার জন্য নানাবিধ চেষ্টা চালান। অন্যদিকে, জলবায়ু সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্যই ছিল এই ইস্যুগুলোর বিরোধিতা করা।

কার্বন নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্যে আয়োজিত সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানি সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিই ছিল বেশি। ছবি: সংগৃহীত

গ্লোবাল উইটনেসের মারে ওয়ার্থি বলেন, কয়েক দশক ধরেই জলবায়ু সংকট নিরসনে সত্যিকারের কোনো কাজ করার ব্যাপার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে এই জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প। এই সংকটকে অস্বীকার এবং তা নিরসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারেও বিলম্ব ঘটিয়ে আসছে তারা।

তিনি আরও বলেন, এই শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রভাবেই গত ২৫ বছরেও কার্বন নির্গমন হ্রাসের ব্যাপারে জাতিসংঘে আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলনগুলো থেকে কোনো কার্যকর রূপরেখা এবং পদক্ষেপ পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, কপ ২৬ সম্মেলনে গিয়েছে প্রায় ৪০ হাজার অংশগ্রহণকারী। আনুষ্ঠানিক তথ্য থেকে জানা যায়, ব্রাজিল থেকে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, আর সেটাও ৪৭৯ জন। সম্মেলনে অংশ নেয়া জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের সাথে যুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এরচেয়েও ২৪ জন বেশি।

তথ্যসূত্র: বিবিসি


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply