ফজলি তুমি কার; চাঁপাই না রাজশাহীর?

|

ফজলি আমকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির দাবি উঠেছে। সুস্বাদু এই আম রাজশাহীর জিআই পণ্য হিসেবে সনদ পেতে যাওয়ার খবরকে ঘিরে জন্ম নিয়েছে এই বিতর্ক।

ব্রিটিশ লেখক ড. বুকানন হ্যামিলটন ১৮০৮ সালে তার একটি গবেষণা গ্রন্থে মালদা অঞ্চলের আমের প্রশংসা করেন। ইতিহাস গবেষক জাহাঙ্গীর সেলিম বলছেন, গৌড়ের ফজলি বিবির নামানুসারে ফজলি আমের নামকরণ হয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী তৎকালীন গৌড় বা ব্রিটিশ ভারতের দক্ষিণ মালদাই বর্তমান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা।

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জকে বাদ দিয়ে রাজশাহীর ফজলি আম নামে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলে তা পেটেন্ট আইন বিরোধী হবে বলে মনে করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

আর আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুখলেসুর রহমান জানালেন, রাজশাহীতে ফজলি আম হলেও সেটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলির মতো নয়। আসল ফজলি চাঁপাইনবাবগঞ্জেই হয় বলে দাবি তার।

রাজশাহীর ফজলি হিসেবে জিআই পণ্যের সনদ পেতে যাওয়ার খবরে ক্ষুব্ধ চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম ব্যবসায়ী, চাষি ও বাগান মলিকরাও। প্রকৃত ভোগোলিক অবস্থান ও ঐতিহাসিক উৎস সরেজমিনে নিরূপণের মাধ্যমে চূড়ান্ত পণ্যসত্ত্ব নির্ধারণের দাবি তাদের।

স্থানীয় প্রশাসনও বলছে ফজলি আমের মূল সূতিকাগার চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সুশীল সমাজ, রাজনীতিবিদ ও জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে বিষয়টি পুনঃবিবেচনার আবেদন করার আশ্বাস দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ।

উল্লেখ্য, চাঁপাইয়ের ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে প্রতি বছর ৩ লাখ ১২ হাজার টন আম উৎপাদন হয়। এর মধ্যেই ৪০ শতাংশই ফজলি আম।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply