২০৩০’র মধ্যে বন উজাড় শূন্যে নামিয়ে আনতে সম্মত শতাধিক দেশ

|

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে গ্লাসগোয় কপ-২৬ সম্মেলনে বসেছেন বিশ্ব নেতারা। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শতাধিক দেশ। বনাঞ্চলের স্বাভাবিকতা ধরে রাখতে করা হয়েছে ১ হাজার ৯২০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল গঠনের ঘোষণা।

চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এছাড়াও, সই করবে কানাডা-ব্রাজিল-রাশিয়া-ইন্দোনেশিয়া ও কঙ্গো। পৃথিবীর মোট বনাঞ্চলের ৮৫ শতাংশই রয়েছে এ দেশগুলোয়।

সোমবার (১ নভেম্বর) ২০৩০ সালের মধ্যে বন-উজাড় শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে সম্মত হন শতাধিক দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান। জানালেন বনাঞ্চল রক্ষায় গঠিত হবে ১ হাজার ৯২০ কোটি ডলারের তহবিল।

সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বহুমুখী প্রকল্প ঘোষণা করবে যুক্তরাষ্ট্র। কৃষি থেকে জ্বালানি ক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা এবং বন উজাড় বন্ধেও গৃহীত হবে কার্যকরী পদক্ষেপ। ২০৩০ সালের মধ্যে, বৈশ্বিক উষ্ণতা এক দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা এবং বন-উজাড় শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনতে বদ্ধ পরিকর আমরা।

নতুন চুক্তিতে, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মতো ধনী দেশগুলোর পাশাপাশি স্বাক্ষর করবে কানাডা-ব্রাজিল-রাশিয়া-ইন্দোনেশিয়া ও কঙ্গো। পৃথিবীর মোট বনাঞ্চলের সিংহভাগই রয়েছে এসব দেশে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, আগামী দু’সপ্তাহে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার জায়গাটা স্পষ্ট করতে হবে বিশ্ব নেতাদের। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষগুলো রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন, চাইছেন জবাব। কার্বন নিঃসরণ কমাতে দূষণ অপরাধীদের জরিমানা করা উচিৎ। এছাড়া, ন্যুনতম করর্পোরেট ট্যাক্সও কমাবে- ধরিত্রী ধ্বংসের প্রবণতা।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো বলেন, যখনই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার প্রশ্ন উঠে, ব্রাজিল সংকট নয় বরং সমাধানের পথেই থাকে। গেলো সপ্তাহেই উদ্বোধন করা হয়েছে- ন্যাশনাল গ্রিন গ্রোথ প্রোগ্রাম। বনাঞ্চল রক্ষার ব্যাপারে বরাবরই তৎপর ব্রাজিল। প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং পরিবেশ বান্ধব কর্মক্ষেত্র তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।

যুগান্তকারী চুক্তির অংশ হিসেবে ২৮টি দেশের সরকার পাম অয়েল, সয়া এবং কোকোয়ার মতো খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিবে। এ ফসলগুলো ভূমিকা রাখে বন উজাড়ে। এছাড়া, বিশ্বের ৩০টি বড় প্রতিষ্ঠান বনাঞ্চল রক্ষায় ক্ষতিকর প্রকল্পে বিনিয়োগ না করার ঘোষণা দেবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply