হ্যালোইন পার্টিতে বন্দুকহামলায় যুক্তরাষ্ট্রে নিহত ১২

|

হ্যালোইন উৎসব চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সাতটি রাজ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পৃথক পৃথক ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোতে বড়দিনের পরে সবচেয়ে বড় উৎসবই হলো এই হ্যালোইন।

এদিকে, শুধু উৎসবের মধ্যেই নয়, সামগ্রিকভাবে গোটা মহামারিকালে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে বন্দুক হামলার ঘটনা। সিএনএন’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু চলতি বছরেই এখনও পর্যন্ত এই ধরনের ঘটনায় ৫৯৯ জন নিহত হয়েছেন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৬১১ এবং ২০১৯ সালে ৪১৭ জন।

ইলিনয় রাজ্যের জোলিয়েট টাউনশিপ এলাকায় স্থানীয় সময় রোববার সকালে হ্যালোইন পার্টিতে গুলিবর্ষণ করা হয়। কাউন্টি শেরিফ অফিস জানিয়েছে, এ সময় ৩ জন নিহত ও অন্তত ১২ জন আহত হন। পালিয়ে যেতে দেখা যায় শতাধিক ব্যক্তিকে।

কলোরাডোর লেকউড বাণিজ্যিক এলাকাতেও চালানো হয় গুলি, যাতে মৃত্যু হয়েছে দুজনের, আহত হয়েছেন দুজন।

রোববার সকালে কেন্টাকির লুইসভিলেতে গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন দুজন। স্থানীয় পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, একটি গ্যাস স্টেশনের কাছে গুলিবিদ্ধ হয় ২০ বছর বয়সী দুই তরুণ। এরপর হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যু হয় তাদের।

টেক্সাসের হাউস্টনে গুলিতে ১৮ বছরের এক তরুণী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর। অন্যদিকে টেক্সাসের টেক্সারকানায় হ্যালোইন পার্টির অনুষ্ঠানে বন্দুকধারীর গুলিতে একজন নিহত ও অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ জানায়, গুলিবর্ষণের সময় অনুষ্ঠানে অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ক্যালিফোর্নিয়ার সেকরেমনতো এলাকায় এক অনুষ্ঠানে গুলিতে দুজন নিহত ও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে শনিবার রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার গিলরোতে সিটি কাউন্সিল সদস্যের বাড়িতে অনুষ্ঠানে গুলিবর্ষণের ঘটনায় একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।

ফ্লোরিডার সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি আউটডোর বক্সিং অনুষ্ঠানে গুলিবর্ষণের ঘটনায় একজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে স্থানীয় পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে স্কাইওয়ে প্লাজার পার্কিং-এর জন্য নির্ধারিত যায়গায় প্রায় দুই শতাধিক মানুষ একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। হামলার এই ঘটনায় রোববার একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার সকালে ওকলাহোমা সিটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গুলিবর্ষণে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। জানা গেছে, এদের প্রত্যেকের অবস্থাই বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।

গবেষকেরা বলছেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক খাতে মহামারির প্রভাবের কারণে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। সপ্তাহান্তে ছুটিতে ঘরোয়া অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন সড়কে আয়োজিত মুষ্টিযুদ্ধ অনুষ্ঠানে এসব গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply