মুরালির দেখানো পথে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রোটিয়াদের আক্রমণ

|

ছবি: সংগৃহীত

অকেশনাল স্পিনার এইডেন মার্করামের হাতে ইদানীং নতুন বল তুলে দিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তাতে ফলও পাচ্ছে প্রোটিয়ারা। স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প স্লো বলে প্রতিপক্ষের রানের চাকা আটকে রাখা যাচ্ছে আর প্রথম চেঞ্জ বোলার হিসেবে উইকেট পাচ্ছেন আইনরিখ নকিয়া বা কাগিসো রাবাদা। এটাই লঙ্কান লেজেন্ড মুত্তিয়া মুরালিধরনের নীতি। কয়েকদিন আগেই মুরালি বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টিতে আক্রমণ মনোভাবের আরেক অর্থ রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলা।

সাম্প্রতিক সময়েই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে মুরালিধরন ব্যক্ত করেন তার ভাবনার কথা। এই স্পিন লেজেন্ড বলেন, এখানে রক্ষণই আক্রমণ। বোলিং সাইড থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রক্ষণাত্মক মনোভাবকেই বেশি এগিয়ে রাখি। রান রেট যদি ৬ বা সাড়ে ছয়ের মধ্যে আটকে রাখা যায়, তবে উইকেট আসবেই। আর স্পিনার হিসেবে কাজটা হবে অনেক বেশি বৈচিত্রময়। টেস্ট লেংথে বল করা যাবে না এই ফরম্যাটে। গুড লেংথের বলে ছক্কা হাঁকাবে ব্যাটাররা। এই ফরম্যাটে ব্যাটার কী করছে, সে অনুযায়ী বল করাটাই বেশি জরুরি। কখনো ফুল লেংথ, কখনো ওয়াইড লেংথে বল করতে হবে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের ম্যাচেই এই কপিবুক কৌশলে কুশল পেরেরাকে সাজঘরে ফিরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করামের ২ ওভারে উঠেছে মাত্র ৮ রান। পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর তাগিদে প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে আইনরিখ নকিয়া আসেন আক্রমণে। আর এই স্পিডস্টারের উপরই চড়াও হবার চেষ্টা করে মারকুটে ওপেনার কুশল পেরেরা দেখলেন, ছত্রখান হয়ে গেছে তার মিডল স্ট্যাম্প। যদিও বাভুমার এই কৌশলে ভ্রু কুঁচকে তাকাতে পারেন অনেকেই। কারণ, যে দেশের হয়ে নতুন বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন অ্যালান ডোনাল্ড, ডেল স্টেইন, মরনে মরকেলরা; সেখানে পার্ট টাইমার দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করা তো রক্ষণাত্মক পথে হাঁটারই নামান্তর। তবে মুরালির মতো বিশেষজ্ঞ যখন প্রকারান্তে জানান, রক্ষণই আক্রমণের ভিন্ন রূপ, তখন তো কিছুটা বাভুমার কৌশলে আসা সাফল্যকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশও থাকে না।

টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে অবশ্য বাভুমার কৌশলেই আসছে ফল। লঙ্কানরা পাওয়ার প্লে শেষে ১ উইকেট হারিয়ে মেলতে পারেনি পাখা। উঠেছে সর্বসাকুল্যে মাত্র ৩৯ রান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply