কলা খাওয়ার ভিডিও প্রকাশ করায় আটক ৭ শরণার্থী

|

ছবি: সংগৃহীত।

তুরস্কে কলা খাওয়ার ভিডিও প্রকাশ করায় সাত শরণার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। কলা খেয়ে ভিডিও প্রকাশের অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হবে বলেও ঘোষণা করেছে দেশটি।

আল- মনিটরের প্রতিবেদনে জানা যায়, তুরস্কের অভিবাসন অধিদফতর জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় ‘প্রচণ্ড ক্ষোভ’ তৈরি হয়েছে তুর্কি জনগণের মধ্যে। তাদের দাবি, তুরস্কের মুদ্রার মান পড়ে যাওয়ায় জনগণ যে তীব্র অর্থনৈতিক চাপে পড়েছেন, তাকে বিদ্রূপ করতে ওই ভিডিও ছড়ানো হয়েছে।

দেশটির অভিবাসন অধিদফতর বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে ঘোষণা করে, আটক সাত শরণার্থীকে বহিষ্কার করে তাদের সিরিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে। লিরার মুদ্রামানের পতন ও তীব্র মূল্যস্ফীতির কারণে তুরস্কের জনগণের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে প্রচণ্ড শরণার্থীবিরোধী জনমত গড়ে উঠেছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান বলেন, তুরস্কে এখন প্রায় ৫০ লাখ শরণার্থী আছে। তাদের বেশিরভাগই সিরিয়ার যুদ্ধ থেকে পালিয়ে এসেছে।

সিরিয়ার শরণার্থীদের তোলা ভিডিওটি আপলোড করা হয় ১৭ অক্টোবর। ভিডিওতে দেখা যায়, একজন সিরীয় শরণার্থী তরুণী কলা খাচ্ছেন এবং তার প্রতি রাগ ঝাড়ছেন একজন তুর্কি নাগরিক। তিনি সিরীয় তরুণীকে যা বলছেন তার অর্থ হচ্ছে, তারা শরণার্থী হয়েও তুরস্কের নাগরিকদের চেয়ে কেন ভালো খাচ্ছেন এবং ভালো থাকছেন! ওই তুর্কি নাগরিক বলছেন, আমি কলা খেতে পারছি না অথচ তুমি কয়েক কেজি কলা একসাথে কিনে খাচ্ছো?

এই ভিডিওটি আপলোড করার সাথে সাথেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা সিরীয় শরণার্থীদের আত্মসম্মানে আঘাত লাগে এবং তাদের কলা খাওয়ার দৃশ্য ভিডিও করে ও ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করতে থাকেন।

প্রসঙ্গত, তুরস্কে কলার চাষ হয় না। তাই তুরস্কের জনগণকে বিদেশ থেকে এই ফল চড়া দামে আমদানি করে খেতে হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply