পাওয়া গেল না বিল গেটসের সেই বই

|

ছবি: সংগৃহীত।

বিল গেটস। ছোট্ট এই নামটির প্রতি বিশ্বের সকলের আগ্রহের কমতি নেই। বিশ্বের সব থেকে বেশি সংখ্যকবার সেরা ধনীর তালিকায় ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তিনি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে তারই লেখা একটি বই বিশ্বের সকল দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে প্রদান করার ঘোষণা দেন।

‘কীভাবে বৈশ্বিক জলবায়ু বিপর্যয় এড়ানো যায়’ নামের বইটি তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। জিমেইল আইডি ও কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলেই বইটির ফ্রি ডাউনলোড লিংক পাঠিয়ে দেয়া হয়।

অনেকেই এই ঘোষণায় হুমড়ি খেয়ে পড়েন পছন্দের ব্যক্তির লেখা বইটি সংগ্রহ করতে। কিন্তু বিধি বাম। অনেকেই হতাশ হয়েছেন এই বইটি ডাউনলোড করতে যেয়ে। রেজিস্ট্রেশন করলেও আসছে না কাঙ্ক্ষিত বইটির ডাউনলোড লিংক। পরে জানা যায়, শুধু ২৫ অক্টোবরের জন্যই তিনি এই বইটি ফ্রি দেয়ার ঘোষণা দেন। ২৫ অক্টোবরের পরে আর কোনোভাবেই ডাউনলোড করা যায়নি বইটি।

বিভিন্ন রিভিউ থেকে জানা যায়, বইটিতে তিনি মূলত তরুণ প্রজন্ম ও জলবায়ু বিপর্যয় নিয়ে একটি সমন্বিত ভবিষ্যত পরিকল্পনা শীর্ষক আলোচনা করেছেন।

বইটিতে তিনি বলেন, বেশির ভাগ তরুণরা তাদের সরকারকে কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী করছে এবং তারাই এই সমস্যা থেকে বিশ্বকে উদ্ধার করতে পারবে বলে দাবি করছে। আর তারা তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রথমেই দরকার একটি পরিকল্পনা। আমার বইয়ে সেই পরিকল্পনার বিষয়েই বিশদ আলোচনা করা আছে।

বইটিতে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে একটি বাসযোগ্য গ্রহে পরিণত করার রূপরেখা নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের প্রয়োজন একটির পর একটি ধাপ ধৈর্য এবং সঠিক পরিকল্পনার সাথে পার করা। এজন্য সমগ্র ভৌত কাঠামোতে পরিবর্তন আনা জরুরি। খাদ্য ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের পন্থা থেকে শুরু করে বাড়িতে চলা এয়ার কন্ডিশন পদ্ধতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত, সে সবই আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রাখতে হবে।

আর এসবের জন্য প্রয়োজন আমাদের প্রযুক্তিগত পরিবর্তন। তরুণরাই এখন প্রযুক্তিতে এগিয়ে। একমাত্র তারাই পারে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে। তারাই নতুন ধারণার উদ্ভাবক।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply