তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর প্রতিশ্রুতি পশ্চিমা বিশ্বের

|

ছবি: সংগৃহীত

মৌলি ইসলাম:

তুরস্ক ইস্যুতে এবার সুর পাল্টালো পশ্চিমা বিশ্ব! দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এর পরপরই জার্মান-ফরাসি ছাড়া বাকি ৮ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যে বা যারাই দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত করবে; তারা তুরস্কে বসবাসের অধিকার হারাবে।

এরদোগান সরকারের দৃঢ় অবস্থানের সামনে নমনীয় হতে বাধ্য হলো পশ্চিমা বিশ্ব। সোমবার ফ্রান্স ও জার্মানি ছাড়া ৭ ইউরোপীয় দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতির মাধ্যমে অঙ্গীকার করেন জেনেভা কনভেনশনের ৪১ নম্বর অধ্যাদেশ মেনে চলার। যেখানে বলা হয়েছে, কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলানোর এখতিয়ার নেই বিদেশি কূটনীতিকদের।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ভিয়েনা কনভেনশনের ৪১ নম্বর অধ্যাদেশের সাথে সহমত পোষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আইনের শাসন এবং মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারেও আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তুরস্কের সাথে মতবিরোধ দূর করতে পারস্পরিক আলোচনাকে গুরুত্ব দিবো।

জার্মানির মুখপাত্র স্টিফেন সেইবার্ত বলেন, এটা স্পষ্ট আমাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়াতেই তুর্কি প্রেসিডেন্টের এ হুমকি। তবে রাষ্ট্রদূতকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার কোনো আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন পাইনি। কূটনৈতিক কোনো পদক্ষেপ নিলে; তুরস্কের সাথে নষ্ট হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।

দেশগুলোর বিবৃতির পরই রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা দিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তবে বহাল রাখলেন কড়া হুঁশিয়ারিও। এরদোগান বলেন, যেসব রাষ্ট্রদূত ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; ভবিষ্যতে তুরস্ক ইস্যুতে বিবৃতি দিতে তারা সতর্ক হবেন। যে বা যারাই তুর্কি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্পর্শকাতর ইস্যুকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন; তাদের এদেশে থাকার দরকার নেই।

তুর্কি মানবাধিকার কর্মী ওসমান কাভালার মুক্তির দাবিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমাদের সাথে তুরস্কের টানাপোড়েন। সরকার বিরোধী বিক্ষোভের দায়ে ৪ বছরের বেশি সময় তিনি বিনা বিচারে রয়েছেন কারাগারে। সম্প্রতি তার ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং দ্রুত মুক্তির আহ্বান জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দেন ১০ রাষ্ট্রদূত।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply