কেমন আছেন ফিরে আসা সুন্দরবনের দস্যুরা?

|

সুন্দরবনে দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাদের পুনর্বাসনের কাজ চলেছে। আগামী ১ নভেম্বর তাদের বুঝিয়ে দেয়া হবে বসতঘর, দোকান, নৌকা, জাল ও গবাদি পশু। এতে খুশি আত্মসমর্পণকারী দস্যুরা। তবে, তাদের কেউ কেউ বলছেন, মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় চরম বিপাকে রয়েছেন তারা।

দস্যুদের দৌরাত্ম্যে একসময় জেলে-বাওয়ালীদের কাছে সুন্দরবন ছিলো আতঙ্কের। সেই বনাঞ্চলে এখন শান্তির সুবাতাস। ২০১৬ সালের ৩১ মে সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় দস্যু দল মাস্টার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। যমুনা টেলিভিশনের মধ্যস্থতায় তারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। এরই ধারাবাহিকতায় মজনু বাহিনী, ইলিয়াস বাহিনী, জাহাঙ্গীর বাহিনীসহ ৩২টি দস্যুদলের ৩২৮ সদস্য আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরে।

দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাদের পুনবার্সনের কাজ এগিয়ে চলেছে। র‍্যাবের উদ্যোগে আগামী ১ নভেম্বর হস্তান্তর করা হবে ১০২টি বসতঘর, ৯০টি দোকান, ২০টি নৌকা ও গবাদিপশু। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

সেসময় সরকারের তরফ থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়, ধর্ষণ ও হত্যা মামলা বাদে বনদস্যুদের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করা হবে। তবে সাবেক দস্যুদল মাস্টার বাহিনীর প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টার জানালেন, মামলা প্রত্যাহারে দেরি হওয়ায় এখনও দুশ্চিন্তা কাটেনি অনেকেরই।

এই পুনর্বাসনের আওতায় বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনার সাবেক দস্যুরা পাবেন প্রতিশ্রুত সহায়তা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply