রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়

|

যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন স্মিথ, অজিদের কাজকে সহজই মনে হচ্ছিল। ছবি: সংগৃহীত

স্কোরবোর্ড বলবে, ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু যেটা বলবে না তা হলো, গ্রুপ ওয়ানের ম্যাচে মাত্র ১১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অজিদের জয়ের জন্য নির্ভর করতে হয়েছে মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েডের ৪০ রানের অপরাজিত জুটির উপর।

আবুধাবির উইকেট সম্পূর্ণ ব্যাটিং উপযোগী। কিন্তু ভালো মানের বোলিংয়ের সামনে নামীদামী ব্যাটারদের নাভিশ্বাস উঠে যাওয়াটাও নতুন নয়। সে চিত্র দেখা গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে। তার আবার পুনরাবৃত্তি ঘটছে অজিদের ব্যাটিংয়েও। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করা বোলারদের মধ্যে মার্ক উড ও লোকি ফার্গুসনের পরেই আছেন আইনরিখ নকিয়া। তবে ফর্মের বিচারে হয়তো বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পেসারদের তালিকাতেই থাকবেন নকিয়া। তার ৯০ মাইলেরও বেশি গতির বলে খাবি খেয়েছেন অফফর্মে থাকা ডেভিদ ওয়ার্নার। অ্যারন ফিঞ্চ তো থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে আউটই হয়ে গেছেন। কাগিসো রাবাদাও বসে থাকার পাত্র নয়। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের দুটি ডেলিভারির পর হঠাৎ এক স্লোয়ারে বোকা বানিয়েছেন ওয়ার্নারকে। পয়েন্টে ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়ান আগে তিনি করেছেন মাত্র ১৪ রান। ওদিকে কেশব মহারাজ বোলিংয়ে এসেই মিচেল মার্শকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

প্রাথমিক এই ধাক্কাগুলো সামলিয়ে দলকে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্টিভেন স্মিথ এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু এইডেন মার্করামের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরে গেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান করা স্মিথ। আর ম্যাচে ফিরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। স্মিথ আউট হবার পর মার্কাস স্টয়নিসের সাথে জুটি বেঁধেছিলেন আরেক হার্ড হিটার ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু চায়নাম্যান তাব্রাইজ শামসিকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ব্যাটিংয়ের দুই ভরসাকে দুই ওভারে হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কা চেপে বসে অজিদের উপর। তবে রান করে মার্কাস স্টয়নিসের ১৬ বলে ২৪ এবং ম্যাথু ওয়েডের ১০ বলে ১৫ রানের ছোট কিন্তু কার্যকর দুটি ইনিংসের উপর ভর করে দুই বল হাতে রেখেই জয় পায় ফিঞ্চ বাহিনী।

এর আগে টস হেরে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সম্মিলিত আক্রমণে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। হ্যাজলউড, জাম্পা ও স্টার্ক নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply