নেত্রকোণায় পিতার মৃত্যুশোকে মেয়ের মৃত্যু

|

ফাইল ছবি


স্টাফ রিপোর্টার:

নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের সাহতা নয়াপাড়া গ্রামে পিতার মৃত্যূর শোক সইতে না পেরে কাঁদতে কাঁদতে ছয় ঘন্টার ব্যবধানে মেয়েও চলে গেলো পরপারে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 


স্থানীয়রা জানায়, বারহাট্টা উপজেলা নয়াপাড়া গ্রামের মো. চন্দন খান (৬০) বার্ধক্য জনিত কারণে বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় দিকে মারা যান । এরপর বাবার মৃত্যুর শোকে কাঁদতে কাঁদতে মিতু সুলতানা (২০) বেলা দুইটার দিকে মারা যান। মিতু নেত্রকোণা সরকারী মহিলা কলেজের সন্মান শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন।

মিতু সুলতানার চাচাতো ভাই আকিকুল ইসলাম খান সানি (২৪) বলেন, আমার চাচা চন্দন খান দীর্ঘদিন দূরারোগ্য রোগে ভোগছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ ঘটিকার দিকে তার মৃত্যূ হয়। এ মৃত্যূতে বাড়ির সবাই ছিল শোকে-বিহবল। মিতু তার অন্য দুই বোনের সাথে ঘরের একটি খাটে বসে কাঁদছিলেন। সে বোনদের মাঝে সবার ছোট। কিছুতেই তার কান্না থামানো যাচ্ছিলো না। বিকেল দুইটার দিকে হঠাৎই সে অজ্ঞান হয়ে খাট থেকে পড়ে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে তাকে চিকিৎসার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বিকেল ৩ ঘটিকার সময় সে মারা যায়। বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পল্টন সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply