পুলিশের সোর্স পরিচয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ

|

ছবি: সংগৃহীত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

পুলিশের সোর্স ও নির্মাণ শ্রমিক মো. রেজাউল এর অপকর্ম নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন রেজাউল। তবে সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

গত সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(৩)(ক), ২৯(১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ওই দিনই মামলাটি খারিজ করে দেন।

মামলায় বিবাদী করা হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘দৈনিক একুশে আলো’ সম্পাদক সেলিম পারভেজ, ‘দৈনিক ফ্রনটিয়ার’ সম্পাদক আব্দুল মালেক, ‘দৈনিক একুশে আলো’ রিপোর্টার হাফেজ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘হোয়াইট নিউজ’র বার্তা প্রধান ইফতেয়ার রিফাত ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সময়কাল’ প্রকাশক শরীফ মাহমুদকে। চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত মামলাটি খারিজের এই আদেশটি বুধবার (২০ অক্টোবর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসে পৌঁছেছে।

এ দিকে, পুলিশের কথিত সোর্স ও নির্মাণ শ্রমিক মো. রেজাউলের বিরুদ্ধে কিশোরীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে দেখছে। তবে বুধবার পযর্ন্ত আদালতে প্রতিবেদন পাঠায়নি পিবিআই ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে চলতি বছরের ১৮ জুলাই ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক তরুণী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী তার অভিযোগে বলেন, পুলিশের সোর্স রেজাউল বাদীর পিতাকে মৎসজীবী হিসেবে সরকারি কার্ড এবং তার মাকে সরকারিভাবে সেলাই মেশিন পাইয়ে দেয়ার কথা বলেন। পরবর্তীতে রেজাউলের খবরের ভিত্তিতে ঘটনার তারিখ ও সময়ে মৎস্যজীবী কার্ড ও সেলাই মেশিন নেয়ার জন্য বাদীনি রেজাউলের বাসায় আসলে বাদীকে একা পেয়ে রেজাউল তাকে যৌন হয়রানি করেন ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

তবে অভিযোগের বিষয়ে মো. রেজাউলের মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী ওই তরুণী জানান,
মামলা তুলে নেয়া জন্য পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে তাকে ও তার পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে রেজাউল।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বুধবার দুপুরে জানান, আমি মামলার বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। অপরাধী যে হউক না কেনো, তদন্তে যা আসবে তা আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply