যেভাবে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন সাকিব

|

নিজের জাত চেনানোর ম্যাচে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের স্বীকৃতি হাতে সাকিব।

বাছাই পর্বের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স সাকিবের। ওমানের বিরুদ্ধে ডু অর ডাই ম্যাচে নিজের জাতটা যেন আবারও চেনালেন দ্য ওয়ান অনলি সাকিব আল হাসান। হাত থেকে প্রায় বেরিয়ে যাওয়া এ ম্যাচে টাইগারদের ত্রাতা ছিলেন সাকিবই।

ওমানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের করা ১৫৩ রানের মধ্যে সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ৪২ রান। ম্যাচটা না দেখলে এই ইনিংসের গুরুত্ব বোঝা যে কারো জন্যই কঠিন। যারা খেলা দেখেছেন শুধু তারাই বুঝবেন যে প্রয়োজনের মুহূর্তে জ্বলে ওঠাটা কতটা জরুরি ছিলো। সাকিব আরও একবার যেন সেটিই করে দেখালেন। এর আগের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছিলো ২০ রান, আর বল হাতে ১৭ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছিলেন ২টি উইকেট। অনেক প্রত্যাশা থাকলেও দলকে জেতাতে পারেননি, স্বাভাবিকভাবেই পড়তে হয়েছিলো সমালোচনার মুখে। কে জানতো যে, সাকিব হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাঁচা-মরার ম্যাচেই নিজের জাতটা আবারও একবার চেনাবেন!

ব্যাট হাতে মারমুখি সাকিব।

ব্যাটিং করতে সাকিব যখন উইকেটে এলেন, লিটন-মেহেদির উইকেট হারানো বাংলাদেশ তখন মহা বিপদে। কিন্তু সাকিব যখন আউট হন তখন বাংলাদেশ ছিলো বড় সংগ্রহের পথেই। তিনি যতক্ষণ ছিলেন পিচে, নাঈম শেখের সাথে মিলে দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ফাইটিং স্কোরের দিকেই। টেল এন্ডারদের ব্যর্থতায় সংগ্রহটা শেষ পর্যন্ত ১৫৩ তে আটকে গেলেও, সাকিব আর মোস্তাফিজের বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে পৌছেছে টাইগাররা।

সাকিবের ইমপ্যাক্ট যেখানে: ২য় ইনিংসের প্রথম ৩ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ওমানের সংগ্রহ ছিলো ২৬ রান। ৪র্থ ওভারে আক্রমণে আসেন সাকিব। ৭ রান দিয়ে সাদামাটাভাবে বোলিং শুরু করলেও, ২য় ওভারে তার দেয়া ১০ রান বেশ শঙ্কায়ই ফেলে দিয়েছিলো টাইগার ভক্তদের।

ক্ষুধার্ত উইকেট শিকারী।

তবে ক্যাপ্টেন রিয়াদ এরপর ম্যাচের খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি মুহূর্তে ভরসা পেয়েছেন সাকিবের হাতেই। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান সাকিবও দিয়েছেন প্রত্যাশা অনুযায়ীই। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে জয় থেকে ৪৮ বলে ৭২ রানের দূরত্বে ছিল স্বাগতিকরা। এমন পরিস্থিতিতেই ১৩তম ওভারে সাকিবকে বোলিংয়ে আনেন ক্যাপ্টেন রিয়াদ। সে ওভারেই ৩৩ বলে ৪০ রান করে ইতোমধ্যেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা যতীন্দর সিংয়ের উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান সাকিব। এরপর আবার ১৭তম ওভার, যখন হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ওমানের প্রয়োজন ছিলো ২৪ বলে ৫০ রান। এ ওভারটা খারাপ হলে বাংলাদেশ খুব সম্ভবত আর ম্যাচে ফিরতে পারত না। তবে আস্থার আশ্রয়স্থল সাকিব মাত্র ৩ রানে পরপর দুই বলে ২টি উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের আরও কাছে নিয়ে আসেন বাংলাদেশকে।

জয়ের আরেকটু নিকটবর্তী হওয়ার মুহুর্তে।

বোলিংয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট এবং ব্যাটিংয়ে ৬টি চারের সাহায্যে গড়া ৪২ রানের ঝলমলে ইনিংসের সুবাদে ম্যাচসেরা সাকিব যেন আরেকবার বুঝিয়ে দিলেন কেন তিনিই নাম্বার ওয়ান।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply