শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু

|

ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মিঠুন আর তানিয়া। সে সম্পর্ক মেনে নেয়নি তানিয়ার পরিবার। ধীরে ধীরে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও ২৩ আগস্ট স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্যের জেরে মিঠুনের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গুরুতর অবস্থায় দীর্ঘদিন রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন মিঠুন দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করতে করতে ৫২ দিন পর শেষ পর্যন্ত মারা যান। এমন মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোটা বাজদিয়া গ্রাম।

২০১৬ সালে বিয়ে করেছিলেন চুয়াডাঙ্গার তানিয়া ও মিঠুন। গত ২৩ আগস্ট শ্বশুরবাড়িতে মনোমালিন্য হয় মিঠুনের। এর জেরে তাকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন চালায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ৩ ঘণ্টা পর মিঠুনকে উদ্ধার করে স্বজনরা প্রথমে চুয়াডাঙ্গায় ও পরে ভর্তি করে রাজশাহী মেডিকেলে।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নিজ মুখেই এই অভিযোগ করার পর গত শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) পরপারে পাড়ি জমান মিঠুন। তবে তানিয়ার দাবি, মনোমালিন্যের জেরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর কে বা কারা মিঠুনকে নির্যাতন করেছে তা জানেন না তিনি। তবে এমন নির্মম মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না গ্রামবাসী। তারা চান দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক জানালেন, আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। অচিরেই গ্রেফতার করা হবে দোষীদের।

প্রসঙ্গত, মারধরের পর গত ৪ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে একটি মামলা হয়েছিল জীবননগর থানায়। মিঠুনের মৃত্যুর পর সেটি এখন রূপান্তরিত হয়েছে হত্যা মামলায়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply