হাইপারসনিক মিসাইল টেস্টের অভিযোগ অস্বীকার করলো চীন

|

চীনের হাইপারসনিক মিসাইল বহর।

পারমানবিক অস্ত্র পরিবহনে সক্ষম হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা চালানোর রিপোর্ট অস্বীকার করেছে চীন। এর আগে, ব্রিটেন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, ২০২১ এর আগস্টে একাধিক পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে বেইজিং।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের ওই রিপোর্টে বলা হয়, চীনের মিসাইলটি লো অরবিটে পৃথীবী প্রদক্ষিণ ও ভূপৃষ্ঠের যে কোনও স্থানে আঘাত করতে সক্ষম।
এদিকে, গতকাল সোমবার (১৭ অক্টোবর) এ রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, আপনারা যা দেখেছেন তা কোনো মিসাইল না, ওটা একটি আধুনিক স্পেসশিপ। রুটিন টেস্টের অংশ হিসেবে সেটিকে উড়ানো হয়েছিলো।

ঝাও লিজিয়ান দাবি করেন, ছবিটিও জুলাই মাসের, আগস্টের না। আর এক্ষেত্রে আমরাই প্রথম না, অতীতে আরও অনেক দেশ এ ধরণের মহাকাশযান উড়িয়েছে।

তবে এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাঝে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার অন্তত দুটি সোর্স নিশ্চিত করেছে যে, হাইপারসনিক প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নয়ন করেছে চীন। এমনকি এক্ষেত্রে চীন এখন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও অনেক গুণ এগিয়ে। এ নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, চীনের সেনাবাহিনী পরিচালিত স্পেস প্রোগ্রাম হাইপারসনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে দীর্ঘদিন ধরেই, চীনের গবেষণা সফল হলে পরাশক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলবে চীন।

উল্লেখ্য, হাইপারসনিক মিসাইল খুবই উচ্চ গতি ও ধ্বংসাত্বক ক্ষমতা সম্পন্ন মারণাস্ত্র। এর গতি শব্দের চেয়েও ৫ গুণ বেশি। এমনকি যেকোনো হাইপারসনিক মিসাইল মহাশূণ্যেও ঘন্টায় ৬২০০ কি.মি. গতিতে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যভেদ করতে পারে। বর্তমানে চীন-যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও আরও বেশকটি দেশ হাইপারসনিক মিসাইল তৈরির দাবি করছে। যার মধ্যে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া অন্যতম।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply