ধরপাকড়ের মধ্যেও চলছে একাধিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, থামেনি লোভনীয় বিজ্ঞাপন

|

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান 'কিউকম'-এর ফেসবুক পেইজ।

ধরপাকড়ের মধ্যেও কার্যক্রম চালাচ্ছে আলোচিত একাধিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান; লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিচ্ছে অনলাইনে। এদিকে পাওনা টাকার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভুক্তভোগী গ্রাহক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, পণ্য কেনার ক্ষেত্রে এখনও ‘এসক্রো পদ্ধতি’ মানছে না অনেক প্রতিষ্ঠান।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘কিউকম’ অফিসে ঝুলছে তালা। অথচ কয়েকদিন আগেও এখানে ছিল গ্রাহকদের ভিড়, জটলা। কিন্তু এখন ভিন্ন দৃশ্য। গ্রাহকদের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অফিস পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। তবে প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্তাদের গ্রেফতার করার পরও কি থেমে আছে কার্যক্রম? না, ওয়েবসাইটে এখনও দেয়া হচ্ছে প্রলোভন। কিউকম-এর ফেসবুক পেইজ এবং ওয়েবসাইটে দেয়া হচ্ছে অফার। আলিশামার্টের সাইটেও অফারের শেষ নেই। এই প্রতিষ্ঠানের কাছেও টাকা পায় গ্রাহক।

ই-ক্যাবের সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, দেখে, শুনে ও বুঝে ই-কমার্স সাইটে লেনদেন করতে হবে। এবং যখনই দেখা যাবে এ সেক্টরটিতে স্বচ্ছতা চলে এসেছে, সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি পাচ্ছে তখনই এ সেক্টরটি উন্নতি করবে।

অফিস এবং ওয়ারহাউস বন্ধ থাকলেও গোপনে চলছে কার্যক্রম। গ্রাহকরাও নতুন করে আকৃষ্ট হচ্ছেন। বিষয়টি অবগত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এসক্রো পদ্ধতিতে লেনদেন করার নির্দেশনা দেয়া হলেও, অনেকেই এখনও দিচ্ছেন নগদ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, পেমেন্ট পদ্ধতিতে টাকা না নিয়ে অনেকে সরাসরি টাকা নেয়, এটা বাংলাদেশ ব্যাংক নিষেধ করেছে। কেউ যদি এমন কাজ করে এবং আমরা অভিযোগ পাই তখন ব্যবস্থা নিতে পারবো। গোপনে যারা টাকা দিচ্ছে তারা প্রকাশ না করলে জানা সম্ভব না।

পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর বা পিএসও ব্যবস্থায় এখনও অভ্যস্ততা আসেনি। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এই পদ্ধতি আয়ত্তে আনতে পারেনি। এক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রায় এক হাজার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা ধরে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গেটওয়ে ব্যবস্থা অটোমেশন করতেও উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply