যে কারণে এক ব্যক্তিকে অন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের আদালত

|

ছবি: সংগৃহীত

ইরানে জনৈক ব্যক্তিকে শাস্তি হিসেবে চোখ তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তেহরানের আদালত। আরেকজনের চোখ অন্ধ করে দেয়ার অপরাধে চোখের বিনিময়ে চোখ ইসলামিক নীতির আওতায় এই শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। খবর আরব নিউজের।

ইরানে প্রতিশোধমূলক সাজা দেয়া আইনসিদ্ধ। সেই আইনের ভিত্তিতেই ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে এই সাজা দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে তেহরান প্রদেশের উপকণ্ঠে ফারশান এলাকায় ও ব্যক্তির সঙ্গে তার প্রতিবেশীর দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এতে তার প্রতিবেশীর এক চোখ নষ্ট হয়ে যায়। চোখ হারিয়ে তেহরানের একটি আদালতে অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তির প্রতিবেশী। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তির এক চোখ নাকি দুইচোখই অন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়নি।

ইরানের বিচারব্যবস্থায় অন্ধ করে দেয়ার নজির আছে। ২০০৮ সালে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে অন্ধ করে দেয়ার আদেশ দেন আদালত। অবশ্য যিনি অ্যাসিড হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি শেষ মুহূর্তে অপরাধীকে ক্ষমা করে দেয়ায় সাজা থেকে বেঁচে যান অভিযুক্ত ব্যক্তি।

কিন্তু ২০১৫ সালে আদালতের নির্দেশে অ্যাসিড হামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির চোখ নষ্ট করে দেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনার বছরখানেক পর নিজের চার বছর বয়সী ভাগ্নিকে অ্যাসিড ছুড়ে চোখ নষ্ট করে দেয়ার অপরাধে আরেক ব্যক্তিকে একই সাজা দেয় আদালত।

ইসলামী বিপ্লব পরবর্তী ইরানে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিষ্ঠুর শাস্তির বিধানের অভিযোগ করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন দেশের সরকার।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply