‘নিজেদের আত্মীয়দের এনে আরিয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষী বানাচ্ছে এনসিবি’

|

ছবি: সংগৃহীত।

মাদক মামলায় শাহরুখ পুত্রের নাম ওঠার পর থেকেই আরিয়ানের পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয়েছে তর্ক-বিতর্ক। পরিস্থিতি বর্তমানে এমন জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আদৌ ওই মামলায় আরিয়ান দোষী কি না তা নিয়েই দোমনা সাধারণ জনগণ। খবর দ্য হিন্দুর।

তবে এরই মধ্যে আরিয়ানকে গ্রেফতার করে রাতারাতি হিরো বনে যাওয়া এনসিবি-র তদন্তকারী কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। তার দাবি, সমীর নিজের পরিচিতদেরকেই আরিয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন।

আরিয়ানের গ্রেফতারের পর থেকেই মন্ত্রী তথা প্রভাবশালী এনসিপি নেতা নবাব মালিক এনসিবি-র বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে সরব হয়েছেন। এ বার তার দাবি, এনসিবি কর্মকর্তারা পরিচিত বা কাছের লোকেদের সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করছেন।

এ নিয়ে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন নবাব। তার দাবি, ছবির ব্যক্তির নাম ফ্লেচার পাটেল। তার সাথে যে নারীকে দেখা যাচ্ছে তিনি এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বোন জ্যাসমিন।

সমীর ওয়াংখেড়ের সাথে ফ্লেচারের অন্য একটি ছবি দেখিয়ে নবাব দাবি করেছেন, সমীর ও ফ্লেচার একে অপরের পূর্ব পরিচিত। সেই ফ্লেচারকেই মাদক মামলায় সাক্ষী করেছে এনসিবি। নবাবের প্রশ্ন, এনসিবি কর্মকর্তারা কী ভাবে তাদের ঘনিষ্ঠ লোকজনকে মামলার সাক্ষী হিসেবে দেখাচ্ছেন?

এর আগে, গত সপ্তাহে নবাব কয়েকটি ভিডিয়ো দেখিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, ২ অক্টোবর প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় আটক তিন জনকে অভিযান শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। এনসিবি-র সাথে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার দাবি তুলে নবাব অভিযোগ করেছিলেন, অভিযান শেষে এনসিবি-র সমীর ওয়াংখেড়ে বলেছিলেন ৮ থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু আসল সত্যি হল, সে দিন মোট ১১ জনকে আটক করা হয়। ঋষভ সচদেবা, প্রতীক গাবা ও আমির ফার্নিচারওয়ালা নামে তিন জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

ঘটনাচক্রে নবাবের অভিযোগ করা ঋষভ সচদেবা এক বিজেপি নেতার আত্মীয়। সঠিক তথ্য প্রকাশ্যে আনতে মুম্বাই পুলিশকে দিয়ে তদন্তেরও দাবি করেন নবাব।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) একইভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেছিলেন, মাদক বাজেয়াপ্ত কি শুধু মহারাষ্ট্রেই হচ্ছে? মুন্দ্রা বন্দর থেকে কোটি টাকার মাদক ধরা পড়েছে। তোমাদের এনসিবি যখন সামান্য গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে দুনিয়া মাথায় তুলছে, তখন আমাদের পুলিশ ১৫০ কোটি টাকার মাদক ধরছে। আসলে তোমরা তারকাদের ধরে তাদের সাথে ছবি তোলায় বেশি ব্যস্ত।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply