‘বিয়ে করতে গিয়ে’ গণধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী

|

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রী। বুধবার দিবাগত রাত ২টায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৩ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার কন্যা ঐ কলেজছাত্রী।

কলেজ ছাত্রী জানান,  তিনি কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে এইচএসসি মানবিক বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী। তার কথিত প্রেমিককে বিয়ে করতে বুধবার রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। প্রেমিক কামরুল ইসলাম (২২) সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের বাঞ্ছারাম গ্রামের অটো চালক রহমান আলী ছেলে। তার সাথেই ঢাকার পথে রওয়ানা হন ওই ছাত্রী।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাত সোয়া ৮টার দিকে কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের দাশেরহাট কুড়িগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে একটি পেট্রোল পাম্পে উভয়ে অপেক্ষা করছিলো। এসময় ঐ ইউনিয়নের হরিশ্বর কালোয়া গ্রামের মাসুদ রানা (২৪), হৃদয় হাসান সুমন (১৮), তারপদ (২০) মোটরসাইকেলে জোরপূর্বক উঠিয়ে পাশ্ববর্তী ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এরপর আবারও স্বপন, পলাশ, মুকুল, লাইজুসহ অন্তত আরও ৮/৯ জন স্থানীয় বখাটে যুবক তাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।  এলাকাবাসী মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশকে জানালে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি (তদন্ত) রওশন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে, মামলা নং-২২। রাতেই অভিযুক্ত মাসুদ রানা, হৃদয় হাসান সুমন, তারপদকে প্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply