খাদ্য উৎপাদন ও চাহিদা নিয়ে পরিসংখ্যান বিভ্রান্তি

|

খাদ্য উৎপাদনের বিষয়ে যেমন সঠিক তথ্য নেই, তেমনি নেই চাহিদার তথ্যও। আর এই পরিসংখ্যান বিভ্রান্তির কারণে খাদ্যপণ্যের চাহিদা ও যোগান ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এমন মত খাদ্যমন্ত্রীর সাধন চন্দ্র মজুমদারের। তথ্য বিভ্রান্তির কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পরিকল্পনা গ্রহণে সমস্যা দেখা দেয়। সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করা বিবিএসের দায়িত্ব বলেও জানান নীতিনির্ধারকরা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ছিল ২৩ লাখ ৮১ হাজার টন। বিপরীতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, পেয়াজ উৎপাদন হয়েছিল ১৯ লাখ ৫৩ হাজার টন। অথ্যাৎ একই বছরে সরকারি দুই সংস্থার মধ্যে পেয়াজের উৎপাদনের পার্থক্য ৪ লাখ ৩০ হাজার টন। শুধু পেঁয়াজ নয়, অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রেও সরকারি সংস্থাগুলোর সাথে পরিসংখ্যান বিভ্রান্তি সমস্যার সৃষ্টি করছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

দেশে ধানসহ খাদ্যপণ্যের প্রকৃত চাহিদা কত সেই হিসেব যেমন নেই, তেমনি উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। যা পরিকল্পনা গ্রহণে বড় সমস্যা বলে জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

পরিসংখ্যানগত বিভ্রান্তি দূর করতে সরকারি সংস্থাগুলোর সাথে কাজ করার কথা জানায় বিশ্ব খাদ্য সংস্থা।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে মাছ, পোল্ট্রি ও গবাদি পশুর খাবার হিসেবে চাল-ভূট্টাসহ অনেক খাবারের ব্যবহার বাড়ছে। প্রসঙ্গত, এসব বিষয়েও নেই সঠিক তথ্য-উপাত্ত।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply