ই-কমার্সে পেমেন্ট নিয়ে জটিলতা

|

ই-কমার্স ব্যবসায় পেমেন্ট করা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ক্রেতার অর্থের সুরক্ষা দিতে চালু হয়েছে গেটওয়ে পদ্ধতি। কিন্তু পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। একাধিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অভিযোগ করেছে, গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানে আটকে আছে শত শত কোটি টাকা। আর গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান ফস্টার বলছে, ব্যাংকে জমা আছে গ্রাহকের দেয়া অর্থ। তবে কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনই নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, কিউকমের ওয়ারহাউজের সামনের দৃশ্য। ক্ষুব্ধ গ্রাহক গেল সোমবার এখান থেকেই নিয়ে যায় অন্তত ছয়টি বাইক। প্রতিশ্রুত সময়ে পণ্য না পাওয়ায় ক্ষোভের জায়গা থেকেই এমন আচরণ। কিন্তু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে টাকা দেবার দশ দিনের মধ্যে পণ্য নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে মুখোমুখি অবস্থানে এখন ই-কমার্স ও প্রেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান।

নতুন নিয়মে গ্রাহক পণ্যের জন্য অর্থ পরিশোধ করলে প্রথমে পাবে পেমেন্ট গেটওয়ে বা পিএসও। গ্রাহক পণ্য পেয়ে নিশ্চিত করার পর সার্ভিস চার্জ কেটে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেই অর্থ পরিশোধ করবে গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কিউকমের ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ তানভীর চৌধুরীর অভিযোগ, অর্থ পরিশোধ করা নিয়েও রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ।

পরিশোধ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ফস্টার গেটওয়ের কাছে আটকে আছে কিউকমের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। বলা হচ্ছে কৌশলে সরিয়ে ফেলা হয়েছে এই অর্থ। বড় অংকের অর্থ পাচারেরও অভিযোগ করেছে কেউ কেউ। ২০১৬ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেয়নি ফস্টার পেমেন্ট। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্টও ফ্রিজ করেছে বিএফআইইউ।

লেনদেন ব্যবস্থায় নতুন ধারণার প্রচলন হলেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই এখন ই-কমার্স ব্যবসা প্রসারে বড় চ্যালেঞ্জ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply