ভাসানচর নিয়ে মত পাল্টেছে জাতিসংঘ

|

শুরুতে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার বিরোধিতা করলেও এখন সহায়তা করতে চায় জাতিসংঘ। এ নিয়ে সরকারের সাথে চুক্তি সই করেছে সংস্থাটি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানান, এর আওতায় খাদ্য, চিকিৎসাসহ মিয়ানমারের ভাষায় অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা দেয়া হবে রোহিঙ্গাদের। ভাসানচরে সহায়তার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতেও জাতিসংঘ কাজ করছে বলে জানান ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি।

কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নিতে চায় সরকার। এর আওতায় গত ডিসেম্বর থেকে সাড়ে ১৮ হাজার রোহিঙ্গাকে নেয়া হয়েছে সেখানে। তবে শুরু থেকেই এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করেছে জাতিসংঘ। দুর্যোগ প্রবণ এলাকা ও ঝুঁকির পাশাপাশি তাদের প্রশ্ন ছিলো ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাচল নিয়ে।

তবে সরকারের দেনদরবার, উদ্যোগ এবং ভাসানচরে কারিগরী দলের পরিদর্শনের পর অবস্থান পরিবর্তন করে জাতিসংঘ। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর অবশেষে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনবার্সন কার্যক্রমে সহায়তায় চুক্তি স্বাক্ষর করলো সংস্থাটি। ইউএনএইচসিআরের আবাসিক প্রতিনিধি জানান, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনই তাদের মূল লক্ষ্য।

চুক্তির আওতায় জাতিংসংঘের উদ্যোগে ভাসানচরে খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসা সহায়তা পাবে রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের ভাষায় ও পাঠ্যক্রমে দেয়া হবে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় সচিব মো. মহসীন জানান, তাদের জীবিকা বা কাজের ধরনও হবে রাখাইনের পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখেই।

গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নিতে থাকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় দলে দলে রোহিঙ্গারা এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। এতে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক এখন কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলোতে অবস্থান করছে। পরবর্তীতে কক্সবাজারের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু করে সরকার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply