‘দেশে বাড়ছে তালাক জালিয়াতির সংখ্যা’

|

ছবি: সংগৃহীত

ইব্রাহিম খলিল:

দেশে তালাক জালিয়াতির সংখ্যা বাড়ছে। গেলো সপ্তাহে অন্তত দুটি জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত প্রমাণ আদালতে দাখিল করেছে পিবিআই ও সিআইডি।

সিআইডি বলছে, জালিয়াত চক্র সংঘবদ্ধভাবে কাজ করায় বারবার ঘটছে এমন ঘটনা। বিয়ে রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজড বাধ্যতামূলক করা গেলে কমবে এমন জালিয়াতি বলে মনে করেন আইনজীবীরা।

এক সপ্তাহে অন্তত দুটি তালাকনামা জালিয়াতির ঘটনা উন্মোচন করেছেন তদন্ত সংস্থাগুলো। এরমধ্যে পিবিআই তদন্তে জানা গেছে- ক্রিকেটার নাসিরকে বিয়ে করা তামিমা তার স্বামী রাকিবকে পাঠানো তালাক নোটিশে জালিয়াতি করা হয়েছে।

আবার পুলিশ সার্জেন্ট আফিফা খাতুনকে দেয়া সার্জেন্ট ওমর ফারুকের দেয়া নোটিশে পোস্ট অফিসের রশিদ, সিল জালিয়াতি উন্মোচন করেছে সিআইডি।

সিআইডি বলছে, তালাকনামার জালিয়াতিগুলো করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এর সাথে কাজি অফিসের কর্মকর্তারা জড়িত। তাই একটি চক্রকে গ্রেফতার করলে আরেকটি চক্র দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জালিয়াতির কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, এ রকম জালিয়াতির ঘটনা বাংলাদেশে এটাই যে প্রথম তা নয়। অনেকগুলোই এরকম হচ্ছে তা ঠিক। সবকিছু ডিজিটাল হওয়ার কারণে জালিয়াতির কাজ এখন অনেক সহজ হয়েছে। জালিয়াতির সাথে জড়িত একটা দলকে যখন আমরা শেষ করে দেয় তখন আরেকটা দল দাঁড়িয়ে যায়। এখন জালিয়াতির নতুন নতুন ডাইমেনশন হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হোসেন বলেন, মেরিজ এবং ডিভোর্স এই বিষয়গুলোকে রেজিস্ট্রেশন করে দেয়া হোক। তখন এনআইডি ও থাম্ব ইম্প্রেশনসহ অন্যান্য তথ্যের সাপেক্ষে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে তখন এটা রেকর্ডভুক্ত হবে। তখন একজন চাইলেই দেখতে পাবেন আসলে ঘটনাটি কী ঘটেছে। পাশাপাশি নিকাহ রেজিস্ট্রারের তথ্যগুলো প্রতিনিয়ত জেলা রেজিস্ট্রারের অফিসে আপডেট রাখলেও তালাক জালিয়াতি কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply