কদবেলের নানা স্বাস্থ্যগুণ

|

ছবি: সংগৃহীত।

শক্ত খোলসে আবৃত টক মিষ্টি স্বাদের দেশীয় ফল কদবেল। আমের থেকে সাড়ে ৩ গুণ, কাঁঠালের দ্বিগুণ, আর আমলকী ও আনারসের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি পরিমাণ আমিষ রয়েছে ফলটিতে।

প্রতি ১০০ গ্রাম কদবেলের পুষ্টিমান পানীয় অংশ ৮৫ দশমিক ৬ গ্রাম, খনিজপদার্থ ২ দশমিক ২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৯ কিলো ক্যালরি, আমিষ ৩ দশমিক ৫ গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক ১ গ্রাম, শর্করা ৮ দশমিক ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫ দশমিক ৯ মিলিগ্রাম, লৌহ শূন্য দশমিক ৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি শূন্য  দশমিক ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ১৩ মিলিগ্রাম এবং  প্রতি ১০০ গ্রামের শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা ৪৯ কিলো ক্যালরি।

আসুন জেনে নিন কদবেলের আরও উপকারিতা সম্পর্কে-

  • কদবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিসের আয়ূর্বেদী চিকিৎসায় কদবেল ব্যবহার হয়।
  • কদবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়।
  • কদবেল উদ্দীপক ও মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা হয় আয়ূর্বেদ শাস্ত্রে। এ ফল নিয়মিত খেলে কিডনি সুরক্ষিত রাখে।
  • কদবেল যকৃত ও হৃদপিণ্ডের বলবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
  • কদবেল পাতার রস পানির সাথে নিয়মিত পান করলে পেপটিক আলসার দ্রুত ভালো হয়।
  • ব্রণ ও মেছতায় কাঁচা কদবেলের রস মুখে মাখলে বেশ দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
  • কদবেল পাতার নির্যাস শ্বাসযন্ত্রের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • কদবেল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। গুড় বা মিছরির সাথে কদবেল মিশিয়ে খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
  • কদবেল মহিলাদের হরমোনের অভাব সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে থাকে। এমনকি স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার নিরাময় করে থাকে।
  • কদবেলের ট্যানিন নামক উপাদান দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করতে সাহায্য করে।
  • কদবেল কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
  • ভিটামিন সি’য়ের ভালো উৎস বিধায় স্কার্ভি প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
  • পাকা কদবেল খেলে হেঁচকী ওঠা, গলা ব্যাথা ও মাড়ির রোগের উপশম হয়।

সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply