ফরিদপুরের চাষিরা ঘরে তুলতে পারেননি ফসল

|

ফরিদপুরের বেশিরভাগ জমিতে চাষ হয়েছিল আমন ও আউশ ধানের। কিন্তু বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ৬ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ফসল। কৃষি বিভাগের তথ্য, চলতি বছর জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ২২ হেক্টর জমির ফসল। পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে ৫৭২ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা তো দূরের কথা অনেক চাষি ঘরেই তুলতে পারেননি ফসল। সব ধান মার খেয়ে গেছে বলে জানালেন এক কৃষক। বললেন, কী খেয়ে বাঁচবেন, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।

তবে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ডালজাতীয় শষ্য আবাদে আগ্রহী চাষিরা। কিন্তু এ অবস্থায় সার-বীজ কেনাই যেন বিলাসিতা। তাই সরকারি সহায়তা চান তারা। কুষকরা বললেন, সরকারিভাবে যদি সার-বীজ সরবরাহ করা হলে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারেন তারা।

অন্যদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান মিন্টুর অভিযোগ, প্রতিবছর ঠিক সময়ে কৃষকদের সার-বীজ না দেয়ায়, ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে হিমশিম অবস্থা হয় চাষীদের। মৌসুমে এসব সার-বীজ সরবরাহ না করায় কৃষক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় সরকারও।

তবে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা একেএম হাসিবুল হাসান বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, প্রনোদনা পেলে তা পৌঁছে দেয়া হবে কৃষকদের।

প্রসঙ্গত, গত বন্যায় ফরিদপুরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৮ হাজার কৃষক।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply