গোলপাতা থেকেই হবে গুড়!

|

গোলপাতা থেকে উৎপাদন করা হবে গুড়! শুনতে অবাক লাগলেও, দেশের বিপুল পরিমাণ চিনি আর গুড়ের ঘাটতি মেটাতে এমনই একটি উদ্যোগ নিয়েছে সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট। অবশ্য বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে এমন প্রক্রিয়ায় গুড় উৎপাদন হয়ে থাকে।

প্রাথমিকভাবে পটুয়াখালীতে এ প্রক্রিয়ায় গুড় উৎপাদন হচ্ছে। তবে, এ ক্ষেত্রে সুন্দরবনের গোলপাতার বিশাল বাগানকে বড় সম্ভবনার ক্ষেত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে।

দেশে বছরে গুড় বা চিনির চাহিদা ২১ লাখ মেট্রিক টন। আখ,তাল আর খেজুর থেকে ২ লাখ টন চিনি আর সাড়ে ৪ লাখ টন গুড় উৎপাদন হয় প্রতিবছর।

চাহিদার তুলনায় বিশাল এই ঘাটতি মেটাতে গোলপাতা থেকে গুড় সংগ্রহ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের হিসেবে, প্রতি হেক্টর গোলবাগান থেকে বছরে ৬ থেকে ২০ হাজার টন গুড় উৎপাদন সম্ভব। এক্ষেত্রে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের গোলপাতার বাগানকেই বিশাল সম্ভবনার ক্ষেত্র হিসেবে দেখছে সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট।

সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, বাগেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল এলাকার গোলপাতা থেকে গুড় উৎপাদন সম্ভব। চাষীদের সামনে যদি আমরা গোলপাতা থেকে গুড় উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি তুলে ধরতে পারি তাহলে এর মাধ্যমে অসংখ্য বনজীবীদের কর্মসংস্থান করা সম্ভব।

গোলপাতা থেকে গুড় তৈরির বিষয়টিকে আরও বড় পরিসরে করার পরিকল্পনাও করছে বন বিভাগ। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, এটা যেহেতু সংরক্ষিত বনাঞ্চল সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কীভাবে গোলপাতা থেকে গুড় উৎপাদন করতে পারি এবং চাষীদের এর সাথে সম্পৃক্ত করতে পারি।

এরইমধ্যে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া গোলপাতা থেকে গুড় উৎপাদন করে আলোচনায় এসেছে।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply