মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মডেল পিয়াসা ২ দিনের রিমান্ডে

|

মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও কলেজছাত্রী মোসরাত জাহান মুনিয়া। ফাইল ছবি।

রাজধানীর গুলশানের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার দায়ের হওয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে পিয়াসার জামিন আবেদন বাতিল করে এ রায় দেন আদালত।

রোববার (৩ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসীর আদালত এ রিমান্ড আদেশ দেন। এদিন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন আসামিকে আদালতে হাজির করে এই মামলার গ্রেফতারসহ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত গ্রেফতারের আবেদনসহ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে তথ্য জানা গেছে।

গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশান দুই নম্বর এভিনিউয়ের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর প্লটের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় কলেজছাত্রী মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, বিলাসবহুল এই ফ্ল্যাটে একাই থাকতো মুনিয়া। সে মিরপুরের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবার নাম মৃত শফিকুর রহমান। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদরের দক্ষিণপাড়া উজির দিঘি এলাকায়।

এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন মুনিয়ার বড় বোন। মুনিয়া কীভাবে মারা গেল তা নিশ্চিতে অপেক্ষা করা হয় মেডিকেল রিপোর্টের জন্য। ১৬ আগস্ট আদালতে দাখিল করা মেডিকেল রিপোর্টে দেখা যায়, মুনিয়া ২ থেকে ৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ডিএনএসহ আনুষঙ্গিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগপর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয় মেডিকেল রিপোর্টে। অবশ্য এসব রিপোর্ট আসার আগেই ১৮ আগস্ট আনভীরকে খালাস দেন আদালত।

মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর আনভীরসহ ৮ জনকে আসামি করে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া। ঢাকার নারী শিশু আদালতে করা মামলায় আনভীর ছাড়াও বাবা বাসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আকবর সোবহান, মা আফরোজা সোবহান, কথিত মডেল পিয়াসাসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়। মুনিয়া যে বাসায় থাকতেন সেই বাসার মালিকও আছেন আসামির তালিকায়।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগ তদন্তে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply