প্রেমের স্বীকৃতি চাওয়ায় গায়ে আগুন দেওয়া সেই তরুণীর মৃত্যু

|

প্রতীকী ছবি।

স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় ‘প্রেমের স্বীকৃতি’ চেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করার সময় শরীরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিদগ্ধ সেই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেই নারী ১০ দিন পর মারা গেছেন।

শনিবার (২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মোছা. হাবিবা আক্তারের (২৪) মৃত্যু হয়েছে।

দগ্ধের ঘটনার পর তাকে প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন হাবিবা আক্তার। সে উপজেলার চেংজানা গ্রামের বাসিন্দা।

দগ্ধের ঘটনার পর গত মাসের ২৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার আটিগ্রামের মো. দিলুকে (৪০) প্রধান ও আরও চারজনকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা অভিযোগ এনে নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও কৌশলে ওই নারীর ফোন নম্বর সংগ্রহের পর তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে প্রধান আসামি দিলু। এর ধারাবাহিকতায় গত ছয় মাসের মধ্যে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে। একপর্যায়ে ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলু।

অভিযোগে আরও বলা হয়, অন্যান্য অভিযুক্তদের সহায়তায় ওই নারীকে হত্যার উদ্দেশে বোতলে করে আনা পেট্রল তার শরীরে ঢেলে দেয় এবং দেশলাই দিয়ে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন অভিযুক্ত কামাল। এতে করে মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান আগুনে ঝলসে যায় ওই নারীর।

ঘটনার দিন গত ২৩ সেপ্টেম্বর কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ আব্দুল্লাহ গালিব জোবায়ের জানিয়েছিলেন, তরুণীর মুখমণ্ডল, দুই হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৩০ শতাংশের বেশি পুড়েছে।

কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ আগুনে দগ্ধ নারীর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের বড় ভাই ও মামলার বাদী মো. মঞ্জিল হক সকাল ১১টার দিকে বিষয়টি অবগত করেন। ঢাকায় নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। নিহতের ভাইয়ের করা মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply