বিমান দুর্ঘটনায় ২৫ বাংলাদেশি নিহত, আহত ১১

|

নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন (সূত্র: এএফপি) । এদের মধ্যে ২৫ জন বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সবশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী আহত ২২ আরোহীকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার ফেইসবুক পেইজে বাংলাদেশি যাত্রীদের তালিকা দিয়ে লিখেছেন, ‘সবুজ কালিতে নাম লিখা ব্যক্তিরা আহত, আমাদের এ্যাম্বাসী কর্মকর্তারা দেখা করেছেন। বাকীরা জীবিত নেই। পাইলট নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজন ক্রু সম্ভবত জীবিত আছেন, তবে তাকে এখনও পৌছানো যায়নি।’

আহতদের মধ্যে আট জনই ভর্তি আছেন কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজে (কেএমসি)। তারা হলেন- শাহরিন আহমেদ, আলমুন নাহার এ্যানি, শাহীন ব্যাপারী, মেহেদি হাসান, এমরানা কবীর, কবীর হোসেন, শেখ রাশেদ রোবায়েত ও সৈয়দা কামরুন্নার স্বর্ণা। আর রেজওয়ানুল হক ভর্তি আছেন ওম হাসপাতালে।

এর বাইরে দু’জন ত্রু আহত থাকার কথা জানা গেলেও তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের নিশ্চিত করেছে ৭৮ জন ধারণে সক্ষম ওই বিমানে চার জন ক্রু ও ৬৭ যাত্রী মিলে ৭১ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৮ জন নারী ও দুটি শিশু ছিল। বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি এবং ৩৩ জন নেপালি। ৪ জন বাংলাদেশি ক্রু’সহ মোট বাংলাদেশির সংখ্যা ৩৬।

বিএস-২১১ ফ্লাইটটি দুপুর ১২.৩০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও এটি ১২.৫২ মিনিটে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। অবতরণের সময় খেই হারিয়ে সৃষ্টি করেছে শোকগাঁথা।

এদিকে, বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তারা। খোঁজ রাখছেন উদ্ধার কার্যক্রম ও পরবর্তী পদক্ষেপের।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply